উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
ধারে ও ভারে মুম্বই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। তবে চোটের কারণে রোহিত শর্মা চারটি ম্যাচে খেলতে পারেননি। তাঁর অবর্তমানে দারুণ নেতৃত্ব দিচ্ছেন কিয়েরন পোলার্ড। হিটম্যানের অভাব অনেকটাই ঢেকে দিতে সফল তরুণ ব্যাটসম্যান ঈশান কিষাণ। ওপেন করতে নেমে দুর্দান্ত ক্রিকেট উপহার দিচ্ছেন তিনি। গত ম্যাচেও সেরা খেলোয়াড়ের সম্মান ছিনিয়ে নিয়েছেন তিনি। ছন্দে আছেন কুইন্টন ডি’ককও। তিন নম্বরে সূর্যকুমার যাদব মুম্বইকে দু’তিনটি ম্যাচ জিতিয়েছেন। মিডল অর্ডারে আছেন পান্ডিয়া ব্রাদার্স (হার্দিক ও ক্রুনাল)। সেই সঙ্গে কিয়েরন পোলার্ডের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স মুম্বইকে আরও শক্তি জোগাচ্ছে।
বোলিংয়ের দিক থেকেও অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিকে টেক্কা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে মুম্বই। যশপ্রীত বুমরাহ টুর্নামেন্টে ইতিমধ্যেই ২৩টি উইকেট নিয়েছেন। ট্রেন্ট বোল্ট পেয়েছেন ২০টি উইকেট। এই দুই পেসার বিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানদের কাছে ক্রমশ ত্রাস হয়ে উঠছেন। যোগ্য সঙ্গত দিচ্ছেন জেমস প্যাটিনসনও। স্পিনার রাহুল চাহারও যথেষ্ট সফল। টুর্নামেন্টে ১৫টি উইকেট পেয়েছেন এই তরুণ ক্রিকেটারটি।
সানরাইজার্সের ব্যাটিংয়ে বড় ভরসা অবশ্যই ক্যাপ্টেন ডেভিড ওয়ার্নার। তবে শেষ দুটি ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন বাংলার ঋদ্ধিমান সাহা। তাঁর ঝোড়ো ব্যাটিং সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ম্যাচেও এই বঙ্গসন্তানের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে থাকবে নিজামের শহর। তিন নম্বরে মণীশ পাণ্ডে কম-বেশি রান করছেন। তবে এই ম্যাচে তাঁকে বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। এছাড়াও রয়েছেন নিউজিল্যান্ডের তারকা ক্রিকেটার কেন উইলিয়ামসন। অবশ্য হায়দরাবাদের মিডল অর্ডারে অনেকটাই দুর্বল। অভিষেক শর্মা, জেসন হোল্ডার, আব্দুল সামাদ ধারবাহিকতা দেখাতে পারছেন না। বোলিংয়ের দিক থেকেও অনেকটাই পিছিয়ে সানরাইজার্স। কিছুটা ব্যতিক্রমী রশিদ খান। তাঁর স্পিনের ভেলকি এই ম্যাচেও দেখার প্রত্যাশায় ক্রিকেট দুনিয়া। টুর্নামেন্টে মোট ১৮টি উইকেট নিয়েছেন আফগান স্পিনারটি। এছাড়াও নটরাজন ভালো বল করলেও ধারাবাহিকতা দেখাতে পারছেন না। একই অবস্থা সন্দীপ শর্মারও। মুম্বইয়ের মতো শক্তিশালী দলকে হারাতে হলে সানরাইজার্সকে টিম গেমের উপরই জোর দিতে হবে।