আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, সোমবারই নবান্নের বৈঠক থেকে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক ও কর্মীদের একাংশের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই মঙ্গলবার পুরুলিয়া সার্কিট হাউসে জেলা পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিধানসভার ভূমি ও ভূমি সংস্কার বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা। বৈঠকেও স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান সহ অন্য বিধায়কেরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের শেষে স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। তবে ওই কমিটির সদস্য তথা রঘুনাথপুরের বিধায়ক বিবেকানন্দ বাউরী বলেন, পুরুলিয়া জেলার সমস্ত বিডিও, অতিরিক্ত জেলাশাসক, সভাধিপতি, সহ-সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন। তিনি আরও বলেন, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরে যাতে কোনও মতে সরকারি কাজে কেউ ফাঁকি দিতে না পারেন, তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। আদিবাসীদের জমি বেদখল হয়ে বিভিন্ন জায়গায় হোটেল, রিসর্ট তৈরি হচ্ছে এমন অভিযোগ এসেছে। অযোধ্যা পাহাড়ের আদিবাসীদের জমিও বেদখল হয়ে যাচ্ছে। তাঁরা কোথা থেকে জমি পেলেন, কীভাবে পেলেন, তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। বিবেকানন্দ বলেন, এদিনের বৈঠকে কয়েকজন কর্মাধ্যক্ষ নিজেরাই বলেন যে, বেআইনিভাবে দিনের বেলা চলে মাটি এবং রাতের চলে বালি। সাতুড়ি ব্লকের এক কর্মাধ্যক্ষ নিজেই বৈঠকে জানিয়েছেন যে, বিএলআরও অফিসে বড় কর্তাদের টাকা না দিলে কাজ হয় না। ওই কর্মাধ্যক্ষ তো অভিযুক্ত আধিকারিকদের নামও বলেছেন। দুর্নীতি যে ব্যাপকভাবে রয়েছে, এদিনের বৈঠকে সেই প্রসঙ্গ উঠেছে। এনিয়ে বিধানসভায় রিপোর্ট পেশ করা হবে।
মানবাজার ২ পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ কনকলতা মুর্মু বলেন, আদিবাসীদের জমি বেদখল হয়ে যাওয়া এবং সরকারি জমি অন্যের নামে রেকর্ড করে দেওয়ার বিষয়ে এদিন বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এছাড়াও বেআইনি ইটভাটা এবং বালির কারবারের বিষয়েও বৈঠকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেউ নির্দিষ্ট কারও নাম দিয়ে কোনও অভিযোগ করেননি। আগে ম্যালেরিয়া দূরীকরণ, বসন্ত দূরীকরণ কর্মসূচি নিয়ে কাজ করেছি। এখন দুর্নীতি দূর করতে চাইছি। কিন্তু এগুলি কোনটাই একদম নির্মূল হয় না। কম কম করে থেকেই যায়। তবে পুরুলিয়াতে কারও বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ পাওয়া গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অযোধ্যার আদিবাসীদের জমি বেদখল হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। অযোধ্যা পাহাড়ে রিসর্ট যাঁরা করছেন, তাঁরা আদিবাসীদের নামেই করছেন। আদিবাসীরাও তার লভ্যাংশ পাচ্ছেন।