আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
উল্লেখ্য, মেচেদা-হলদিয়া রাজ্য সড়কের ধারে কাঁকটিয়ায় এখন বাড়ি তৈরির জন্য অনেকেই জমি কিনছেন। গ্রামীণ এলাকা থেকে মানুষজন এসে এখানে বাড়ি বানাচ্ছেন। মেচেদা ও তমলুকের মাঝামাঝি এই জায়গায় চাহিদা বেড়েছে। তাই শতকপিছু ছ’-সাত লক্ষ টাকা দরে জমি বিক্রি হচ্ছে। জমির চাহিদা বাড়তেই স্থানীয় বিজেপি পরিচালিত গ্রাম কমিটি ফতোয়া জারি করে। জমি কেনাবেচায় সবার আগে গ্রাম কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে বলে গ্রামজুড়ে ফ্লেক্স ঝুলিয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, জমি কেনার জন্য বায়না করা বেশ কয়েকজনকে চিঠি পাঠিয়ে গ্রাম কমিটির অফিসে তলবও করা হয়। যেমন, কাঁকটিয়া গ্রামের শ্রীমতি দাস মালাকারের থেকে জমি কিনেছেন শঙ্করপ্রসাদ মাল। সেই জমির দখলও নিয়েছেন শঙ্করবাবু। গ্রাম কমিটির সভাপতি নিতাই পাল কমিটির প্যাডে শঙ্করপ্রসাদকে চিঠি দিয়ে অফিসে তলব করেন।
রবিবার কাঁকটিয়া গ্রামে ফতোয়া-ফ্লেক্স সামনে আসতেই হইচই পড়ে যায়। গত পঞ্চায়েত ভোটে কাঁকটিয়া বুথে বিজেপি জয়ী হয়েছে। কাখর্দা পঞ্চায়েতও বিজেপির দখলে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ সিটেও জয়ী বিজেপি। উল্লেখ্যযোগ্য বিষয় হল, গ্রাম কমিটির সভাপতি, যুগ্ম সম্পাদক সকলেই বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। গ্রাম কমিটির ওই ফতোয়ার খরর প্রকাশ হতেই হইচই পড়ে যায়। প্রশাসনের অন্দরেও শোরগোল ওঠে। এরপর জেলা প্রশাসন ওই খবরের কার্টিং বিডিওর কাছে পাঠিয়ে ব্যবস্থা নিয়ে রিপোর্ট পাঠাতে নির্দেশ দেয়। সেইমতো পঞ্চায়েতের মাধ্যমে ফ্লেক্স খোলা হয়।
বিজেপি নেতারা কাটমানি আদায় করতে এই ফতোয়া চাপিয়েছে বলে শাসকদলের অভিযোগ। তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় ব্লক সভাপতি রাজেশ হাজরা বলেন, সরকারি আইন মেনে জমি কেনাবেচা হয়। সেখানে বিজেপি নেতাদের ফতোয়া অবৈধ। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বামদেব গুছাইত বলেন, স্থানীয় গ্রাম কমিটি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে ধিক্কার জানাই। ওই গ্রাম কমিটিতে সব রাজনৈতিক দলের লোকজন আছেন। ওই গ্রামে দু’টি বুথে তৃণমূলের দুই প্রাক্তন সদস্য জমি কেনাবেচায় যুক্ত। তাঁরা রাজ্য সড়ক লাগোয়া অনেক জমি কিনে নিয়েছেন। পিছনের প্লটের মালিকদের ভয় দেখিয়ে, চাপ দিয়ে জলের দরে জমি নেওয়ার ফন্দি করছেন। এর বিরুদ্ধে গ্রাম কমিটি এরকম একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।