আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম বিশ্বজিৎ বাউরি (৬৫)। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিস। অবস্থার অবনতি হওয়ায় দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। দুর্গাপুরেই দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, বাড়ি থেকেই কুড়ুল সমেত হাতে নাতে আটক করা হয়েছেবিশ্বজিৎবাবুর মেজ ছেলে শিবম বাউরিকে।
বাঁকুড়ার পুলিস সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন, দুই ভাইয়ের মধ্যে গোলমাল চলছিল। সেই গোলমাল থামাতে গিয়েছিলেন বৃদ্ধ। তাঁকে কুড়ুল দিয়ে কোপানা হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত মেজ ছেলে কুড়ুল নিয়েই জখম বাবার পাশে বসেছিল। আতঙ্কে পরিবারের অন্য সদস্যরা তাঁর কাছে যেতে পারছিলেন না। পুলিস গিয়ে তাকে আটক করে। কুড়ুলটি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। মৃতের এক ভাই রাজু বাউরি বলেন, আমি বাইরে থাকি। ভোটের দিন দাদার সঙ্গে শেষবারের মতো দেখা হয়েছিল। এদিন ফোনে ঘটনার কথা শুনে বাড়ি এসেছি। ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা ঘটলো বুঝতে পারছি না। আমাদের বাড়র কারও অবস্থা ভালো নয়।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বিশ্বজিতবাবুর গ্রামের বাড়ি বড়জোড়ার ভৈরবপুরে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা বড়জোড়ার বাসিন্দা। বাড়িতে স্ত্রী, ছেলে ও বউমাদের নিয়ে থাকতেন বিশ্বজিতবাবু। ঘটনার সময় বিশ্বজিতবাবুর স্ত্রী গৌরীদেবী বাড়িতে ছিলেন না। তিনি বড়জোড়া থানা এলাকাতেই এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এদিন সকালে বাড়িতে দুই ভাইয়ের ঝামেলা চলছিল। বিশ্বজিতবাবু তা থামাতে যান। তখনই শিবম কুড়ুল নিয়ে বাবার উপর হামলা চালায়। পাগলের মতো এলোপাথাড়ি কোপ মারতে থাকে। বিশ্বজিতবাবু রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন। শিবম রক্তমাখা কুড়ুল হাতেই বাবার কাছেই ঘোরাফেরা করছিল। যাতে কেউ বৃদ্ধকে উদ্ধারে এগিয়ে না আসেন। খবর পেয়ে বড়জোড়া থানার পুলিস ঘটনাস্থলে আসে। জখম বিশ্বজিতবাবুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। একইসঙ্গে মেজ ছেলেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। কুড়ুলটিও উদ্ধার করে পুলিস। জেলা পুলিসের এক কর্তা বলেন, পারিবারিক অশান্তির কারণে এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। তবে প্রকৃত কারণ জানতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা হবে। তারসঙ্গে অভিযুক্তকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়নি।
বড়জোড়া পঞ্চায়েতের বিরোধী দল নেতা গোবিন্দ ঘোষ বলেন, আমার সংসদ এলাকায় এদিন বাবাকে খুনের অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর বাড়িতে গিয়েছিলাম। পুলিস ঘটনার তদন্ত করছে।