নিজস্ব প্রতিনিধি, শান্তিপুর: শহরের উপকণ্ঠ ঘেঁষে চলে গিয়েছে চার লেনের জাতীয় সড়ক। তৈরি হয়েছে একাধিক উড়ালপুল। রথযাত্রার আগে শান্তিপুরে চাইনিজ মাঞ্জা বা বেআইনি নাইলনের সুতোর রমরমা চরমে। শহরে তো বটেই, যে কোনও মুহূর্তে জাতীয় সড়কে বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। নাইলন সুতো বাজারে আমদানি রুখতে পুরসভার তরফে প্রচার কাজে আসছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের ধরপাকড় করেও পরে পুলিস তাদের ছেড়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন শহরবাসী থেকে সামাজিক সংগঠনগুলো। শান্তিপুরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নিশ্চিন্তপুর এলাকায় তৈরি হয়েছে ঘুড়ি মার্কেট। শহরের অন্যান্য বাজারে ঘুড়ি বিক্রি হলেও নিশ্চিন্তপুরেই ক্রেতাদের ভিড় বেশি। তার কারণ, এই বাজারেই সুতির সুতো বা সাধারণ মাঞ্জার আড়ালে নাইলন সুতোর রমরমা কারবার করছে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। শান্তিপুরে রথযাত্রা শুরুর আগে থেকেই বিভিন্ন এলাকায় ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয়। চীনা মাঞ্জার চাহিদা নিয়ে এখানকার দোকানগুলিতে আসছে বিভিন্ন বয়সের ক্রেতা। গত রবিবার শান্তিপুর শহরে পায়ে ঘুড়ির নাইলন সুতো জড়িয়ে অল্পবিস্তর জখম হন এক পথচারী। গত কয়েক বছরের মতো এবারও চীনা মাঞ্জার দাপট নিয়ে আশঙ্কা করছেন শহরের বাসিন্দারা। শান্তিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদের সচেতন করছি। বাজারে অভিযান করা হচ্ছে। তারপরেও লুকিয়ে নাইলনের সুতো বিক্রি চলছেই। ক্ষুব্ধ শহরবাসীর অভিযোগ, প্রশাসনের মদতেই সবটা চলছে। নাইলনের সুতো সহ অসাধু ব্যবসায়ীদের ধরপাকড় করার নামে থানায় ডেকে নিয়ে আসছে পুলিস। পরে সাধারণ সুতির সুতো বলে ওই ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
বছর দুয়েক আগে বড় গোঁসাই পাড়ার রথের মেলায় যাওয়ার সময় গলায় নাইলনের সুতো গলায় জড়িয়ে জখম হয়েছিলেন আগমেশ্বরীতলার বাসিন্দা পূজা দাস। রীতিমতো রক্তারক্তি অবস্থা হয়েছিল তাঁর। গতবছরও এক ছাত্রী সহ বেশ কয়েকজন রথের সময় একইভাবে আক্রান্ত হন। শান্তিপুরের একটি সামাজিক সংগঠনের সভাপতি পলসন ঘোষ বলেন, গত চার বছরে শান্তিপুরে নাইলন সুতোর দৌরাত্ম্য বেড়েছে। গোবিন্দপুর, বাবলা এলাকায় এইসময় প্রচুর ঘুড়ি ওড়ানো হয়। প্রশাসনের সতর্ক হওয়া উচিত।