সংবাদদাতা, কান্দি: বালতিতে ভরে রাখা আছে প্রয়োজনীয় জল। সাধারণ মধ্যবিত্ত গৃহস্থের এটা পরিচিত ছবি। কিন্তু সেই বালতি ভর্তি জল যে এত বড় বিপদ ডেকে আনবে, তা কল্পনাও করতে পারেনি বড়ঞার কালীগঞ্জের দাস পরিবার। বাড়িতে রাখা বালতির জলে ডুবেই মৃত্যু হল বাড়ির ১৪ মাসের শিশুপুত্র তুষারশুভ্রর। মঙ্গলবার সকালে মর্মান্তিক এই ঘটনায় পরিবারের পাশাপাশি গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শিশুর বাবা সাগর দাস টোটো চালক। তিনি অন্য দিনের মতো এদিনও ভোরে বাড়ি থেকে টোটো নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। বাড়িতে তুষার ছিল মায়ের কাছে। তুষারের মা বলেন, ছেলে ঘরের ভিতর আপন মনে খেলা করছিল। আমি বাড়ির কাজকর্ম করছিলাম। কাজ করার ফাঁকে ছেলে কী করছে, তা ঘরে এসে মাঝেমধ্যে দেখে যাচ্ছিলাম। কিছুক্ষণ ধরে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে ঢুকে দেখি, জলের বালতিতে ছেলের মাথা ঢুকে রয়েছে। তাড়াতাড়ি বালতি থেকে ছেলেকে টেনে বের করি। কিন্তু ছেলের কোনও সাড়া পাচ্ছিলাম না। আমার সব শেষ হয়ে গেল। এভাবে ছেলেকে হারাতে হবে, কল্পনাও করতে পারিনি। মৃতার মা নাগরী দাসের কান্না শুনতে পেয়ে প্রতিবেশীরা বাড়িতে ছুটে যান। তাঁরা তুষারকে বড়ঞা গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান, আগেই শিশুটি মারা গিয়েছে।
এদিকে এদিন সকালেই কান্দি পুরসভার বাধাপুকুর এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে এক যুবতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিস। মৃতার নাম বৈশাখী মণ্ডল(১৮)। তাঁর গ্রামের বাড়ি কান্দি থানার মোল্লা গ্রামে। প্রায় দু’বছর ধরে তাঁরা ওই ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। পুলিস দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এবছরই ওই যুবতী উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করছিলেন। মৃতার বাবা জিতেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, বাড়িতে কোনও অশান্তি ছিল না। তবে মেয়ে কিছুদিন ধরে অবসাদে ভুগছিল।
এদিন সকালে কীটনাশক খেয়ে এক বৃদ্ধর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি বড়ঞা থানার তাঁলোয়া গ্রামের। মৃতের নাম কানু বায়েন(৭০)। পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন বৃদ্ধ। রোগযন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে সোমবার নিজের বাড়িতেই কীটনাশক খেয়ে ফেলেন।