উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
উল্লেখ্য, গত শনিবার দুর্গাপুর ব্যারেজ বিপর্যয়ে জলধার শূন্য হয়ে যায়। ওই জলধারের জলই পরিশুদ্ধ করে পানীয়জল হিসেবে শহরবাসীকে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু, ব্যারেজ জলশূন্য হয়ে পড়ায় জলসঙ্কট চরমে ওঠে। ব্যারেজের ভেঙে যাওয়া ৩১ নম্বর গেট মেরামতি করে দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হয়। শুক্রবার সেই কাজ সম্পূর্ণ হয়। এদিন সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ধাপে ধাপে জল পরিষেবা স্বাভাবিক হতে থাকে। এরই মধ্যে এদিন সকালে হাউসিং কলোনির বাসিন্দারা জলের দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভে অংশ নিয়ে আন্দোলন জোরালো করেন। ওই রাস্তার পাশে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল, ইএসআই হাসপাতাল সহ আরও একটি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। ফলে ওই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যান চলাচল ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভের খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার দীপঙ্কর লাহা ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার দীপেন মাজি হাজির হন। তাঁরা বিক্ষোভ বন্ধ করে রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান। পাশাপাশি শীঘ্রই পানীয়জল দেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু, বিক্ষোভকারীরা তাঁদের সঙ্গে বচসা শুরু করে দেন। শুরু হয় কাউন্সিলারদের সাথে ধস্তাধস্তি। পুলিস এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। বেলা ১১টা থেকেই ওই এলাকায় জল পরিষেবা শুরু হয়ে যায়।
বিক্ষোভকারী নন্দিতা দুবে ও মৌসুমি সরকার বলেন, প্রায় সারা বছরই এলাকায় অনিয়মিত জল আসে। ব্যারেজ বিপর্যয়ের জেরে প্রায় সাতদিন ধরে চরম জল সঙ্কট ভুগতে হয় এলাকাবাসীকে। পুরসভা থেকে কয়েকবার ট্যাঙ্কের মাধ্যমে জল দিলেও তা পর্যাপ্ত পরিমাণে ছিল না। লকগেট মেরামতির পর অন্য এলাকায় এদিন জল পরিষেবা স্বাভাবিক হলেও আমাদের এলাকায় হয়নি।
কাউন্সিলার দীপঙ্কর লাহা বলেন, এদিন সকালে সর্বত্রই জল পরিষেবা ধাপে ধাপে স্বাভাবিক করা হচ্ছিল। সেই সময় বিজেপি কর্মীরা জল নিয়ে রাজনীতি করতে হাসপাতাল যাওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরোধ করে। বিজেপি নেতা অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিধাননগরের একাংশের মানুষ শুক্রবার রাত থেকেই জল পেয়েছেন। ওই এলাকায় ট্যাঙ্কে জল এলেও এদিন সকাল পর্যন্ত দিতে ব্যর্থ হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। তাই স্থানীয় মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে বিক্ষোভ দেখায়। এই ব্যর্থতার জন্য স্থানীয় কাউন্সিলার দায়ী। তিনি তদারকি করে ট্যাঙ্কের সমস্যা মিটিয়ে এলাকাবাসীকে জল পরিষেবা সময় মতো দিতে পরেননি। পুরসভার জল দপ্তরের মেয়র পরিষদ সদস্য পবিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, সাতদিন ধরে আমরা শহরবাসীকে প্রয়োজনীয় জল সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছি। তাই কোনও এলাকায় বিক্ষোভ হয়নি। এদিন স্বাভাবিক ছন্দে ধাপে ধাপে শিল্পাঞ্চলে জল পরিষেবা স্বাভাবিক করা হচ্ছিল। সেই সময় বিজেপি রাজনীতি করতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়।
এদিন সিটিসেন্টার সেল-কো-অপারেটিভ এলাকায় দুপুর ১২টা পর্যন্ত জল পরিষেবা না মেলায় স্থানীয় বাসিন্দারা একটি জল ট্যাঙ্কের কাছে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তড়িঘড়ি ওই ট্যাঙ্কের কর্মীরা জল পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করলে বিক্ষোভ উঠে যায়।