শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় ওই ৩৬টি সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের মধ্যে বর্তমানে ৮টি অপারেশনাল অর্থাৎ সচল রয়েছে। বাকিগুলি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছে। কোথাও কৃষিভবন, কোথাও নতুন অব্যবহৃত সরকারি বিল্ডিং, কোথাও কৃষকবাজার, কোথাও আবার সরকারি পলিটেকনিক কলেজ নেওয়া হয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকরা এখন প্রতিদিনই স্পেশাল ট্রেনে ও বাসে করে জেলায় ফিরছেন। উম-পুনের জেরে গত দু’দিন বর্ধমানে স্পেশাল ট্রেন আসা বন্ধ ছিল। শুক্রবার থেকে ফের ট্রেন আসতে শুরু করেছে। এদিন মহারাষ্ট্র থেকে শতাধিক পরিযায়ী শ্রমিক এবং অন্যান্য যাত্রী বর্ধমান স্টেশনে নেমেছেন। প্রসঙ্গত, এদিন বর্ধমান স্টেশনে নামার পর কয়েকজন যাত্রী ক্ষোভও প্রকাশ করেন। অভিযোগ, মুম্বই থেকে তিনদিন ধরে ট্রেনে এলেও তাঁদের বিস্কুট ও জল ছাড়া কিছু খাবার দেওয়া হয়নি। তবে, বর্ধমান স্টেশনেই আগত পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য এদিন বর্ধমান স্কাউটস অ্যান্ড গাইডের তরফ থেকে খাবার দেওয়া হয়।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিক সহ ভিন রাজ্য থেকে এখন যাঁরাই ফিরছেন, তাঁদের প্রথমে থার্মাল গান দিয়ে স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। তারপর প্রত্যেকেরই সোয়াব টেস্ট করা হচ্ছে। বর্ধমানের কৃষিভবনে সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার সহ জেলার ৮টি জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতদিন নমুনা নেওয়ার পর যাঁদের উপসর্গ ছিল, তাঁদের সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হচ্ছিল। যাঁদের কোনও উপসর্গ ছিল না, তাঁদের নমুনা নিয়ে বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হচ্ছিল। এবার নমুনা নিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের এলাকার স্কুল ও কলেজে পাঠানো হবে। যেহেতু বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজেই এখন করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে, তাই একদিনের মধ্যেই এখন রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। তাই যাঁদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসবে, তাঁদের একদিন পরই স্কুল ও কলেজ থেকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। রিপোর্ট পজিটিভ এলে সেখান থেকে সরাসরি কোভিড হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হবে।
পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, এলাকার স্কুল ও কলেজেও পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ারেন্টাইন করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই মতো ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। পরিযায়ী শ্রমিক সহ ভিন রাজ্য থেকে যাঁরাই ফিরছেন, তাঁদের প্রত্যেকের সোয়াব টেস্ট করা হচ্ছে। করোনার প্রকোপ যে রাজ্যগুলিতে বেশি দেখা দিয়েছে, সেইসব রাজ্য থেকে যাঁরা ফিরছেন, তাঁদের রিপোর্ট তাড়াতাড়ি পাওয়ার জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যাতে তাঁদের কাছ থেকে অন্যরা কেউ সংক্রামিত না হন।