শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
সহ মৎস্য অধিকর্তার(মিষ্টিজল) অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, উম-পুনে ২৭২৭ হেক্টর মিষ্টি জলাশয় এবং ১৭৫৮ হেক্টর নোনা জলাশয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টাকার অঙ্কে ক্ষতির পরিমাণ যথাক্রমে ৩১কোটি ৩৫লক্ষ ও ২৫কোটি টাকা। জেলায় খাওয়ার উপযোগী ৪৩৯৭টন মাছ নষ্ট হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৬কোটি টাকা। ৪২২৬টি মৎস্যজীবীর বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। ৩১২০টি মৎস্যজীবীর বাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টাকার অঙ্কে যা প্রায় ১০কোটি। ১১০মিলিয়ন ছোটোপোনার ক্ষতি হয়েছে। যার মূল্য ছ’কোটি টাকা। জাল ও হাঁড়ির ক্ষতি হয়েছে যথাক্রমে ৬৫৫টি এবং ১৯৭৩টি।
এছাড়াও সামুদ্রিক মৎস্য বিভাগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উম-পুনে ক্ষয়ক্ষতির তালিকায় উপকূল বরাবর সামুদ্রিক মৎস্যজীবীদের বাসস্থান থেকে মাছ ধরার নৌকা, জাল এবং শুকনো মাছ সহ আরও অনেককিছু রয়েছে। সহ মৎস্য অধিকর্তা(সামুদ্রিক) সুরজিৎ বাগ বলেন, সাড়ে পাঁচ হাজার মৎস্যজীবীর ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়েছে ১২০০-১৫০০টি বাড়ি। উপকূল বরাবর পাঁচটি ব্লকে ৪১টি খটি আছে। সেইসব খটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৬৮-৭০টন শুকনো মাছ নষ্ট হয়েছে। ওই সব শুকনো মাছ সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই। সাইক্লোনে সেসব একেবারে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ৩০০থেকে ৩৫০টি নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা ক্ষয়ক্ষতির একটি প্রাথমিক তালিকা রাজ্যে পাঠিয়েছি। আগামী সোমবার পূর্ণাঙ্গ তালিকা পাঠানো হবে।
সহ মৎস্য অধিকর্তা(মিষ্টিজল) সৌরীন্দ্রনাথ জানা বলেন, মিষ্টি এবং নোনা মিলিয়ে সাড়ে চার হাজার হেক্টর জলাশয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাতেই ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫৬কোটি টাকা। ওই সব জলাশয়ের জল শোধন করতে হবে। বড় মাছ নষ্ট হয়েছে ৪৩৯৭টন। ১১০মিলিয়ন চারাপোনা নষ্ট হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা দীর্ঘ।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কয়েকলক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে মাছ চাষের উপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এর মধ্যে মিষ্টি জলের মাছ, সামুদ্রিক মাছ, ভেনামি চিংড়ি রয়েছে। প্রতি বছর সামুদ্রিক মাছ এবং ভেনামি চিংড়ি রপ্তানি করে কয়েকশো কোটির বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন হয়। লকডাউনে মৎস্যজীবীদের উপার্জন থমকে গিয়েছিল। তারপর উম-পুন মৎস্যজীবীদের শিরদাঁড়াটাকেই ভেঙে দিয়েছে। এখন ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই কীভাবে শুরু হবে অনেকেই সেটা বুঝে উঠতে পারছেন না। আপাতত সরকারের মুখাপেক্ষী জেলার কয়েক লক্ষ মৎস্যজীবী।