শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
দিন দশেক আগে নানুর ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরে আসেন। তারপর ২০মে উচকরণ পঞ্চায়েত এলাকায় তিনজন একসঙ্গে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে পড়েন। তাঁরা সকলেই পরিযায়ী শ্রমিক। চেন্নাই থেকে তাঁরা নানুর ফিরেছিলেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই সমগ্র বোলপুর মহকুমায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিস ও প্রশাসন তড়িঘড়ি তাঁদের বোলপুরে করোনা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। কার্যত নানুর ব্লকের ওই গ্রাম বাইরের জগৎ থেকে আলাদা হয়ে যায়। গ্রামে আসা যাওয়ার ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি করে দেওয়া হয়। অবশেষে পাঁচদিনের লড়াইয়ের পর সোমবার ওই তিন ব্যক্তি ভাইরাসের সঙ্গে অসম যুদ্ধে জয়ী হয়ে সুস্থ অবস্থায় নিজেদের গ্রামে ফিরে গেলেন। ঈদের দিন গ্রামের তিন আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরায় স্বাভাবিকভাবেই খুশির আবহ গ্রামজুড়ে। এদিন দুপুরে পুলিস ও প্রশাসন যৌথ উদ্যোগ নিয়ে ওই তিনজনকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসে। একদিকে ঈদ, অন্যদিকে তিনজনের সুস্থ হয়ে ফিরে আসার আনন্দে তাঁদের পুষ্পবৃষ্টি করে গ্রামে স্বাগত জানান বাসিন্দারা। তবে, স্বাস্থ্যদপ্তরের পক্ষ থেকে ওই তিনজনকে ১৪দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নানুরের বিডিও অরূপকুমার মণ্ডল বলেন, আমাদের এলাকায় এক শিশুসহ তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক করোনা সংক্রামিত হয়েছিলেন। তার মধ্যে তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক সোমবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এলেন। আমাদের সবরকমভাবে চেষ্টা রয়েছে, যাতে নতুন করে কেউ আক্রান্ত না হয়।
গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, একসঙ্গে তিনজন ভাইরাসে সংক্রামিত হয়ে যাওয়ায় আমরা ভীষণ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছিলাম। কিন্তু, এদিন তাঁরা সুস্থ হয়ে ফেরার পর আমাদের জীবনযাত্রাও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।