শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
শ্যামলবাবু বলেন, মাটির সৃষ্টি প্রকল্পের মাধ্যমে মূলত জেলায় যে সমস্ত সরকারি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি পতিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে তা কাজে লাগানো হবে। সেগুলিকে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের মাধ্যমে সমান করে বিভিন্ন ফলের বাগান, পুকুর কেটে মাছ চাষ ও সেচের ব্যবস্থা করে রবি চাষের মাধ্যমে আয়ের পথ দেখানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এরফলে গরিব মানুষকে লকডাউনের সময় বেশি কাজ দেওয়া সম্ভব হবে।
অরূপবাবু বলেন, জেলায় প্রথম পর্যায়ে সাড়ে ৬ হাজার একর পতিত জমিকে মাটির সৃষ্টি প্রকল্পের মাধ্যমে চাষ উপযোগী বা স্থায়ী সম্পদ তৈরির জন্য কাজে লাগানো হবে বলে ঠিক হয়েছে। তারমধ্যে ৬টি ব্লকে এদিন এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ১৬০০ একর জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। দ্রুত ওই কাজগুলি শুরু করা হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া জেলার সদর মহকুমা ও খাতড়া মহকুমা এলাকার বেশ কয়েকটি ব্লকের মাটি ঢালু বলে একটা বড় অংশে সেভাবে চাষ আবাদ সম্ভব হয় না। ক্রমশ সেগুলি পতিত জমিতে পরিণত হচ্ছিল। চাষ আবাদ না হওয়ায় তা থেকে আয় হচ্ছিল না। তাছাড়া এই ধরনের বেশকিছু সরকারি জমি ক্রমশ জবরদখল হয়ে যাচ্ছিল। তাই সরকারি সম্পত্তি বেদখল হওয়া রুখতে ও ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমিগুলি থেকে মানুষকে আয়ের পথ দেখাতেই পরিকল্পনা নেওয়া হয়। কৃষি, মৎস্য, উদ্যানপালন, প্রাণিসম্পদ ও ১০০ দিনের প্রকল্পের সংযুক্তির মাধ্যমে চাষযোগ্য করে তোলার উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। এজন্য প্রাথমিকভাবে ছাতনা, ইন্দপুর, হীড়বাঁধ, খাতড়া, সিমলাপাল, তালডাংরা ও রানিবাঁধ ব্লকে ১৬০০ একর জমি পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমিগুলির ক্ষেত্রে একলপ্তে থাকা কমপক্ষে ১০০ থেকে ১৫০ বিঘা জমির মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সমবায় গঠনের ব্যবস্থা করা হয়। জমিগুলিকে সমান করার পর চরিত্র ও ঢাল অনুযায়ী ফলের বাগান অথবা বড় জলাশয় করা হবে। সেই জলাশয়ে মাচ চাষের পাশাপাশি রবি চাষের জন্য জল তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন। সেইমতো এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে ৬টি ব্লকে নতুন এই প্রকল্পে মাটি সমান করার কাজের সূচনা হয়। এরফলে প্রতিদিন ওই ব্লকগুলিতে প্রায় ১০ হাজারের বেশি মানুষ ১০০ দিনের কাজের সুযোগ পাবেন।