জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ছ’মাসের বেশি সমিতির বৈঠক ডাকা হচ্ছে না বলে এবার ক্ষোভ প্রকাশ করলেন চেয়ারম্যান গৌতম দাস। তাঁর দাবি, সুপারকে বারবার বলার পরও তিনি বৈঠক ডাকছেন না। সমিতির বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তের ৯০ শতাংশ কার্যকর করা হয় না বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। কেন এমন হচ্ছে তার উত্তরও নেই।
২০২১ সালে সুপার স্পেশালিটির রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান করা হয় রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক গৌতম দাসকে। জেলা প্রশাসনের নিয়ম অনুযায়ী তিন মাস অন্তর সমিতির বৈঠক করতে হয়। সেই মিটিংয়ে রোগীদের উন্নত পরিষেবা দেওয়া নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি পরিকাঠামো উন্নয়নের রেজোলিউশন নেওয়া হয়।
প্রায় ছ’মাসের বেশি সমিতির বৈঠক কেন হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। চেয়ারম্যানের কথা সুপার কেন শুনছেন না, বা জেলা প্রশাসনের শীতঘুমে থাকার কারণ নিয়েও শুধু ধোঁয়াশা।
সমিতির বৈঠক নিয়ে কি তবে জেলায় চলছে রাজনীতি? গৌতম দাসের অভিযোগ, জেলায় অদৃশ্য শক্তি রাজ্য সরকারের কাজকর্মকে কালিমালিপ্ত করার জন্য পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছে। চেয়ারম্যান শুধুমাত্র সমিতির বৈঠক ডাকার জন্য সুপারকে সুপারিশ করতে পারেন। সেইমতো তিনি সদস্যদের নিয়ে বৈঠক ডাকবেন। সুপারকে একাধিকবার ফোন, মেসেজ করে বৈঠক করার কথা বললেও শুনছেন না। সমিতির বৈঠকে আমন্ত্রতি সদস্য হিসেবে জেলাশাসক, ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকও থাকেন। রেজোলিউশনের প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ হয়নি বা সদিচ্ছা নেই স্বাস্থ্য দপ্তরের।
গৌতমের দাবি, রোগীদের ন্যূনতম পরিষেবা দিতে পারলে সাধারণ মানুষ সরকারের দিকে আঙুল তুলতে পারবেন না। একাধিক অনিয়মের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে কথা শুনতে হচ্ছে।
অভিযোগ, আগের বৈঠকগুলিতে সঠিক সময়ে ওপিডি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার খোলা, হাসপাতালের ভিতরে জঞ্জালে ভর্তি পুকুর সংস্কার, রোগীর পরিজনদের জন্য শেড তৈরি, মহকুমা হাসপাতাল বিল্ডিংয়ের সঙ্গে নতুন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সংযোগ রাস্তা করা সহ একাধিক সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে পারেনি জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর।
সুপার স্পেশালিটির সুপার বাবুসোনা সাহা বলেন, লোকসভা নির্বাচন চলায় বৈঠক করা যায়নি। চেয়ারম্যানের সঙ্গে ফোনে কথা বলা হয়েছে। দ্রুত সমিতির বৈঠক হবে। ফান্ড না থাকায় আগের রেজোলিউশন অনুযায়ী পরিকাঠামোর কাজ করা যায়নি। সবসময় পরিষেবা উন্নত করার চেষ্টা করছি। অনেক দিন বৈঠক হয়নি। তবে, বৈঠক করতে দেওয়া হচ্ছে না তেমনটা নয়।
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাসের কথায়, আমি সমিতির সদস্য নই। বৈঠকে ডাকলে যাই। বৈঠকের বিষয়ে সুপার আর চেয়ারম্যান জানেন। রেজোলিউশন অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কি না, সেটা জানারও কথা নয়। অফিসিয়ালি কেউ কিছু বলেননি।