জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
আবেদনকারীদের প্রতিবেশীদের কাছে তথ্য যাচাই করে তাঁরা জানতে পারছেন অনেকের কয়েক বছর আগেই বিয়ে হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে এমন ৭০টির বেশি আবেদন যাচাইয়ের পর বাতিল করে সতর্ক করেছে প্রশাসন। এমন আবেদন জমা করলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা রূপশ্রী প্রকল্পের নোডাল অফিসার কাসিফ সাবির বলেন, ভুয়ো নথি দিয়ে বিয়ের পরেও অনেকে আবেদন করছেন। তথ্য যাচাই না করে আমরা প্রকল্পের সুবিধা দিই না। ভুয়ো তথ্য দেওয়ায় অনেকের আবেদন বাতিল করা হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে একাধিক প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। ক্যাম্পে গিয়ে রূপশ্রী প্রকল্পে আবেদন করলে দ্রুত ২৫ হাজার টাকা পাওয়া যাবে, এমনটা ভেবে অনেকে ভুয়ো বিয়ের কার্ড বানিয়েছিলেন। পঞ্জিকা দেখে বিয়ের দিনক্ষণ, পাত্রের নাম ঠিকানা, এমনকী অনেকে পাত্রের ছবিও জমা দিয়েছিলেন। বিবাহিত মহিলারা প্রকল্পের সুযোগ নিতে অবিবাহিত সেজে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে ধরাও পড়েছিলেন। ফের একই কায়দায় ব্লক অফিসে অনেকে ভুয়ো নথি দিয়ে রূপশ্রী প্রকল্পের আবেদন করছেন।
পুরো প্রক্রিয়াকে বিশ্বাসযোগ্য করতে অনেকে আবার আত্মীয়কে পাত্র বানিয়ে সমস্ত কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। আবেদনের ভিত্তিতে প্রশাসনের কর্মীরা ঠিকানায় গিয়ে তদন্ত করে দেখতে পান অনেকেই বিবাহিত। জেলা জুড়ে অধিকাংশ ব্লক অফিসে এমন ভুয়ো কনের খোঁজ মিলেছে বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
কুমারগঞ্জের বিডিও শ্রীবাস বিশ্বাস বলেন, আমাদের ব্লকে ১০ জনের হদিশ পেয়েছি। তাঁরা ভুয়ো বিয়ের কার্ড বানিয়ে আবেদন করেছিলেন। অনেকের বিয়ে হয়েছে, আবার অনেকে সন্তানের মা। সেই আবেদনগুলি বাতিল করা হয়েছে।