আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
দু’দিন আগেই পুর কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অযথা কর আরোপ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। কোনওভাবে বাসিন্দাদের উপর বাড়তি করের বোঝা যাতে না চাপানো হয়, তা নিয়ে তিনি কার্যত সতর্ক করে দিয়েছেন। ফলে ইংলিশবাজার পুরসভার কর আরোপের বিষয়টি কার্যকর না করা হতে পারে বলে পুরকর্তাদের একাংশ জানিয়েছেন। ব্যবসায়ী মহলের পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে শহরবাসীও ক্ষুব্ধ। ফলে বাসিন্দাদের এই মুহূর্তে চটানো উচিত হবে না বলে পুরসভার মাথারা মনে করছেন।
পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন সুমালা আগরওয়ালা বলেন, কঠিন বর্জ্য নিষ্কাষণ প্রকল্পের আওতায় টাকা পাওয়ার জন্য উপভোক্তাদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট ‘চার্জ’ আদায় করার জন্য কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছিল। এটা পুরসভার মস্তিষ্কপ্রসূত সিদ্ধান্ত নয়। তাছাড়া বিষয়টি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বাড়তি কর আরোপের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন। ফলে বিষয়টি বাস্তবায়িত করা যাবে কিনা আমরা আলোচনা করব।
মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক উত্তম বসাক বলেন, পুরসভা কর্তৃপক্ষ রাজা বা জমিদারদের মতো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিদিন ২৫-৩০ টাকা করে জঞ্জাল কর আদায় করা হবে বলে জানানো হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করেছি। ওই কর না দেওয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের বলা হয়েছে। এমনিতেই অনলাইন বেচাকেনার জেরে ব্যবসা মার খাচ্ছে। তার উপর এভাবে তুঘলকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে ব্যবসায়ীদের পথে বসতে হবে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন মহলে চিঠি দিয়েছি। প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও লিখিত অভিযোগ জানানো হবে।
ইংলিশবাজার শহরে পরিবার বা বাড়ি পিছু দৈনিক এক টাকা করে জঞ্জাল কর আদায় করা হবে বলে সম্প্রতি একটি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পুর কর্তারা কর আরোপের ব্যাপারে অনেকটাই এগিয়ে যান। গৃহস্থালির পাশাপাশি হোটেল, রেস্ট্রুরেন্ট সহ অন্যান্য ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকেও নির্দিষ্ট কর আদায় করা হবে বলে পুরসভার তরফে জানানো হয়। কেন্দ্রীয় পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা পাওয়ার শর্ত হিসাবে ওই কর আদায় করা হচ্ছে বলে পুর কর্তারা সাফাই দেন। যদিও তা ধোপে টেকেনি বলে আধিকারিকদের একাংশ জানিয়েছেন। বিষয়টি ‘বর্তমান’ পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর শহরের বাসিন্দারা ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেন। বিভিন্ন মহলে এনিয়ে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এতদিন বাসিন্দারা তাঁদের অসন্তোষের কথা জানাচ্ছিলেন। এবার বণিকসভাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। পুরসভা এভাবে চললে শহরে শাসক দল তৃণমূলের ক্ষতি হবে বলেও অনেকে মনে করছেন। লোকসভা নির্বাচনে ঘাসফুল শিবির ইংলিশবাজারে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে। জঞ্জাল কর নিয়ে বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা চটে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যাবে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে।