আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
গত সপ্তাহে ডাইভারসন ভেঙে যাওয়ায় জেলা শহরের সঙ্গে টানা পাঁচদিন সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ ছিল। পরে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ডাইভারসন মেরামত করায় গত রবিবার থেকে ফালাকাটা-আলিপুরদুয়ার সড়ক পথে যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হয়। ভারী গাড়ি চলতে না পরলেও ছোট গাড়ি কোনওরকমে পারাপার করছিল। সোমবার রাতে ডাইভারসন ভেঙে যাওয়ার পর মঙ্গলবার সকাল থেকে চরম ভোগান্তির শিকার হন নিত্যযাত্রী সহ পড়ুয়ারা। সকালে পলাশবাড়ি, মেজবিল, শিশাগড় থেকে ফালাকাটায় টিউশন পড়তে আসা স্কুল পড়ুয়া সীমা বর্মন, অনন্যা বর্মন জানায়, বিজ্ঞান বিভাগের বিষয়গুলি টিউশন পড়তে আসি। একসপ্তাহ ডাইভারসনের উপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকায় আসতে পারিনি। এদিন হাঁটুজল পেরিয়ে এলাম।
আরএক ছাত্র রতন দাস বলেন, সকালে এসে দেখি, ডাইভারসন ভেঙে গিয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সহযোগিতায় জল ভেঙে পার হই। গাড়ি পরিবর্তন করার জন্য অতিরিক্ত ভাড়া লাগল। দ্রুত সমস্যার সমাধান দরকার। এদিন কলেজে পরীক্ষা থাকায় সমস্যায় পড়তে হয় পরীক্ষার্থী নন্দিনী রায়, সুভাষিনী দাস, সোনালি বর্মন, লিটন দাসকে। কষ্ট করে চরতোর্সা ডাইভারসন পেরিয়ে পরীক্ষা দিতে যান তাঁরাও।
এদিন সকালে ডাইভারসন ভাঙার খবর জানাজানি হতেই যাত্রীবাহী গাড়ি সহ পণ্যবাহী গাড়িগুলি ফের ঘুরপথে কোচবিহার জেলার ঘোকসাডাঙা ও কুশিয়ারবাড়ি হয়ে আলিপুরদুয়ারে যাতায়াত করে। গাড়ি ঘুরপথে যাতায়াত করায় যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়াও নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যাকে কেন্দ্র করে দুপুরে ফালাকাটা আটো স্ট্যান্ডে কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে চালকদের বচসা হয়। পরে স্থানীয়রা দু’পক্ষকে বুঝিয়ে মিটিয়ে দেয়। বাড়তি ভাড়া নেওয়ার কথা অটো চালকরা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, প্রায় ২০-২২ কিমি ঘুরতে হচ্ছে। তাই ১৫-২০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। তপন দাস, প্রণয় মল্লিক, দীপান্বিতা মল্লিক বলেন, আলিপুরদুয়ার থেকে ফালাকাটায় বিশেষ কাজে আসতে হয়েছে। ডাইভারসন ভাঙা থাকায় ঘুরপথে আসতে হল। এজন্য ২০ টাকা অতিরক্তি ভাড়া নেন অটোচালক। ফালাকাটা টাউন ব্লক আইএনটিটিইউসি সভাপতি অশোক সাহা বলেন, এভাবে কেউ অতিরিক্ত ভাড়া নিতে পারেন না। এতে নিত্যযাত্রী থেকে ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা হবে। আমি এ ব্যাপারে গাড়ি চালকদের সঙ্গে কথা বলব। ফলাকাটার বিডিও অনীক রায় বলেন, ডাইভারসন দ্রুত সংস্কারের ব্যাপারে জেলা প্রশাসন ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে আনা হয়েছে।