আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
ধূপগুড়ি মহকুমার সজনাপাড়া এলাকার মূক ও বধির নীলিমা রায়ের যে কোনও দিন বিয়ে হবে, আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন বাবা নীরেশচন্দ্র রায়। একই অবস্থা ছিল রাঙ্গালিবাজনার গোবিনহাটের শ্রীকান্ত বর্মনের একমাত্র ছেলে সুমন্ত বর্মনের। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর নীলিমার ফোনে একটি মিসড কল আসে। এরপর হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কলের মাধ্যমে পরিচয়। তারপর জীবনের নানা ঘটনার কথা একে অপরকে বলতে বলতে প্রেমের শুরু। ভালোবাসার টানে দশ দিন আগে মেয়েটি চলে যায় রাঙ্গালিবাজনায় ছেলের বাড়িতে। পরিবারের সম্মতিতে সেখানে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে নবদম্পতি এখন ভীষণ খুশি। নীলিমার বাবা বলেন, আমার একমাত্র মেয়ে জন্ম থেকেই মূক ও বধির। ভাবিনি তার বিয়ে হবে। ওরা ভালো থাকুক।
সুমন্তর মা অমৃতা বর্মনের কথায়, ছেলে কথা বলতে পারে না। কিন্তু এই বিয়েতে ওদের মত রয়েছে দেখে আমরাও না করিনি। ভগবান কাউকে না কাউকে ঠিক পাঠিয়ে দেন।
দু’জনের প্রেম কীভাবে এগিয়েছে? নীলিমার মা জয়ন্তী রায় বলেন, মেয়ে মোবাইল নিয়ে থাকত। কিন্তু আমরা ঘুণাক্ষরেও টের পাইনি প্রেমে পড়েছে। ভিডিও কলেই ওদের সম্পর্ক এগিয়েছে।
কথা বলতে না পারলেও ইশারায় নবদম্পতি বুঝিয়ে দিল, জীবনের এই মোড়ে এসে একসঙ্গে এগিয়ে যাবে নতুন পথে। নীলিমা ও সুমন্ত। - নিজস্ব চিত্র।