জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার চরতোর্সা নদীর জলস্তর কিছুটা কমেছে। তাই দিনভর চরতোর্সা পারাপার করার জন্য সাধারণ মানুষের ভিড় ছিল। যদিও ডাইভারসনের পশ্চিম দিকে কঙ্কালসার চেহারা প্রকট হয়েছে। ভাঙাচোরা অংশের উপর দিয়েও বয়ে চলে স্রোত। বাইক, স্কুটার নিয়ে এসে লোকজন থমকে যাচ্ছে। আর সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নদী পারাপার করে দিচ্ছে কয়েকজন যুবক। বিনিময়ে তারা ১০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছেন। এখনও এলাকায় নৌকা নামানো হয়নি। বাঁশের সাঁকোও বানানো হয়নি। তাই ওই যুবকরা লোকজনের হাত ধরে, পিঠে তুলে পার করে দিচ্ছেন। আবার পাঁচ-ছ’জন মিলে বাইক তুলে নদীর এপাড়-ওপাড় করে দিচ্ছেন। মানুষ পার করতে জনপ্রতি নেওয়া হচ্ছে ১০ টাকা করে। আর স্কুটার, বাইক পার করাতে নেওয়া হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এই কাজে নামেন স্থানীয় কিছু যুবক। তাঁদের কথায়, নদীতে জল কম। তাই লোকজন কোচবিহার জেলার ঘোকসাডাঙা, পুন্ডিবাড়ি হয়ে ঘুরপথে না গিয়ে চরতোর্সার ভাঙাচোরা ডাইভারসনের উপর দিয়েই পার হচ্ছে।
ওই কাজে যুক্ত যুবকরা বলেন, পাঁচ-ছ’জন মিলে একটি বাইক পার করে দিচ্ছি। ঝুঁকি থাকলেও লোকজনের সুবিধা হচ্ছে। এরজন্য কিছু টাকা নেওয়া হচ্ছে। জল থাকলেও কিছুটা কম এখন। তাই যাঁরা চাইছেন, তাঁদের হাত ধরে পার করে দিয়ে ১০ টাকা করে নিচ্ছি। পলাশবাড়ির একটি স্কুলের শিক্ষক অমিত রায় বলেন, ঘোকসাডাঙা দিয়ে ঘুরপথে স্কুলে আসতে তিনদিন একঘণ্টা অতিরিক্ত সময় লেগেছে। এরজন্য বাইকের তেলও খরচ হয়েছে। সময় বাঁচাতে এদিন কিছু টাকা দিয়ে বাইক পার করে নিয়েছি।
গত রবিবার চরতোর্সার জলস্তর বেড়ে যায়। ভেঙে যায় ডাইভারসন। যার জেরে বন্ধ ৩১ডি জাতীয় সড়ক হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা। পাঁচদিন হলেও ডাইভারসন সংস্কার করা হয়নি। যারজন্য আন্দোলনেও নেমেছে মহাসড়ক গণসংগ্রাম কমিটি। সংগঠনের সদস্য তপন বর্মন বলেন, আন্দোলন চলছে। তারপরও সড়ক কর্তৃপক্ষের হেলদোল নেই। এরপর আমরা ডিএম অফিসের সামনে ধর্নায় বসব।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রজেক্ট ডিরেক্টর সঞ্জীব শর্মাকে টেলিফোন করা হলে রিসিভ করেননি। মেসেজ করা হলেও উত্তর আসেনি। তবে জলস্তর কিছুটা কমায় বিকেলে দেখা যায় ডাইভারসন সাংস্কারের কাজে নামে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।