সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: ময়নাগুড়ি পুরসভার নজরদারির অভাবে ফের শহরের বাজারগুলিতে রমরমিয়ে শুরু হয়েছে নিষিদ্ধ ক্যারিব্যাগের ব্যবহার। যা রুখতে পুরসভার নজরদারি জোরদার করার দাবি তুলেছেন বাসিন্দারা। বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ী সমিতিও পুরসভাকে সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে। মানুষ সচেতন না হলে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব নয় বলে পুরসভার দাবি। এদিকে, নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের অবাধ ব্যবহারে দূষণ বাড়ছে ময়নাগুড়ি শহরের একাধিক এলাকায়।
ময়নাগুড়িতে নতুন বাজার ও পুরাতন বাজারে অবাধে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগের ব্যবহার চলছে। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই নিষিদ্ধ ক্যারিব্যাগ ব্যবহার করছেন। একসময় ময়নাগুড়ি পুরসভার পক্ষ থেকে ক্যারিব্যাগের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু বর্তমানে সেই অভিযান বন্ধ। অভিযোগ, পুরসভার নজরদারির অভাবে প্রশাসনের নাকের ডগায় নিষিদ্ধ ক্যারিব্যাগ ব্যবহার হচ্ছে। অন্যদিকে, নিষিদ্ধ ক্যারিব্যাগের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় বেহাল হয়ে পড়ছে বাজারের নিকাশি ব্যবস্থা। সেই ক্যারিব্যাগ  নদীতে গিয়ে পড়ছে। ফলে প্রভাব পড়ছে বাস্তুতন্ত্রে। অবিলম্বে এনিয়ে প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নিক, চাইছেন বাসিন্দারা। ময়নাগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান অনন্তদেব অধিকারী বলেন, মানুষ সচেতন না হলে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব নয়। সবার আগে ক্রেতাদের সচেতন হতে হবে। ক্রেতাদেরই জানিয়ে দিতে হবে, আমরা ক্যারিব্যাগে কোনও সামগ্রী নেব না। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, ক্রেতারা বাড়ি থেকে কোনও ব্যাগ না নিয়ে বাজারে চলে আসেন। এরপর ক্যারিব্যাগে  সামগ্রী কিনে বাড়িতে আসেন। ক্রেতা যদি বিক্রেতার কাছ থেকে নিষিদ্ধ ক্যারিব্যাগ নেওয়া বন্ধ করে দেন, তাহলেই এর ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাবে। তবুও আমরা দেখছি, এবিষয়ে কী করা যায়। ময়নাগুড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সহকারী সম্পাদক সুমিত সাহা বলেন, বাইরে থেকে ময়নাগুড়িতে নিষিদ্ধ ক্যারিব্যাগ আসছে। সব ব্যবসায়ীই যে ক্যারিব্যাগ ব্যবহার করেন তা নয়। কিছু ব্যবসায়ী আছেন, যাঁরা নিষিদ্ধ ক্যারিব্যাগ ব্যবহার করে থাকেন। আমরাও চাইছি, পুরসভা সপ্তাহে অন্তত একদিন বাজারগুলিতে অভিযান চালাক। কারা নিষিদ্ধ ক্যারিব্যাগ ব্যবহার করছে, তা দেখুক। আমরা পুরসভার পাশে থাকব। কারণ, আমরাও চাইছি নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ হোক।