যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
বন্ধের সমর্থনে বৃহস্পতিবার দুপুরে কোচবিহার শহরে মিছিল করেন ব্যবসায়ীরা। ভবানীগঞ্জ বাজার থেকে মিছিল শুরু হয়ে হরিশ পাল চৌপথি হয়ে সাগরদিঘির পাড় পর্যন্ত যায়। পরে সেখান থেকে মদনমোহন বাড়ির সামনে দিয়ে পুলিস লাইন চৌপথি হয়ে ফের হরিশ পাল চৌপথি ঘুরে ভবানীগঞ্জ বাজারে এসে শেষ হয়। মিছিলে ছিলেন জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মতিলাল জৈন, সম্পাদক সুরজকুমার ঘোষ সহ ৩২টি শাখা সংগঠনের সদস্যরা। বুধবার সন্ধ্যায় ব্যবসায়ীরা বন্ধের সমর্থনে পথসভাও করেছিলেন। রাজনৈতিক দলগুলিকে বন্ধের সমর্থন চেয়ে চিঠি দিয়েছে সংগঠন। এদিকে ব্যবসায়ীদের ডাকা বন্ধকে সমর্থন জানিয়েছে সিপিএম। প্রয়োজনে আজ ব্যবসায়ীদের পাশে থাকতে রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। যদিও পুরসভার দাবি, কোনও কর বৃদ্ধি করা হয়নি।
জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বলেন, পুরসভার কর বাড়ানো সহ সাতদফা দাবিতে শুক্রবার কোচবিহার শহরে ২৪ ঘণ্টার ব্যবসা বন্ধের ডাক দিয়েছি। আমরা শহরের সব রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়ে আমাদের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছি। অনেকেই সমর্থন জানিয়ে পাশে থাকার কথা বলেছে। আমরা সংগঠনের তরফে বন্ধের সমর্থনে পথসভা করেছি। এদিন মিছিল করে শহরের মানুষেকে পাশে থাকার আবেদন জানিয়েছি। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অনন্ত রায় বলেন, জেলা ব্যবসায়ী সমিতি আমাদের সমর্থন চেয়েছিল। আমরা তাদের দাবির সঙ্গে একমত, তাই বন্ধকে সমর্থন জানিয়েছি। কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, আমরা যেকোনও ধরনের বন্ধের বিরোধী। পুর এলাকায় কোনও কর বাড়ানো হয়নি। কিছু ব্যবসায়ী সিপিএম ও বিজেপির মদতে পুরসভার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইছে। শহরের উন্নয়নকে থামিয়ে দিতে চাইছে। তারা অন্যায় দাবি করছে। তাদের সঙ্গে সাত-আটবার বৈঠক করে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সেটাই নেওয়া হয়েছে। আপনাদের যদি ন্যায়সঙ্গত কোনও সমস্যা থাকে তাহলে পুরসভায় এসে আলোচনা করুন। আলোচনার মাধ্যমে নিশ্চই সমস্যার সমাধান হবে। বন্ধ করে কিছু হবে না।