যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
কামাখ্যাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল বারোবিশা, কুমারগ্রাম, খোয়ারডাঙা, মারাখাতা, চেংমারি, কামাখ্যাগুড়ি, ভল্কা ছাড়াও কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ-২, আলিপুরদুয়ার-২ ব্লক এবং প্রতিবেশী রাজ্য অসমের গোসাইগাঁও মহকুমার বাসিন্দারা। কুমারগ্রাম ব্লকের চা বাগানগুলির বাসিন্দারাও চিকিৎসা পরিষেবার জন্য কামাখ্যাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের উপরই নির্ভর করে থাকেন। এখানে পাঁচজন চিকিৎসক থাকলেও বেশিরভাগ বিভাগেই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগীদের। স্থানীয় বাসিন্দা বিমল সরকার, রৌশন আলি বলেন, কামাখ্যাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে সব পরিষেবা মেলে না। সব বিভাগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। কোনও রোগীর অবস্থা একটু সঙ্কটজনক হলেই জেলা হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়। কামাখ্যাগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ারের দূরত্ব ২৭ কিমি। ফলে রোগী নিয়ে যেতে সমস্যা হয়। তাই আমাদের দাবি, কামাখ্যাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ করা হোক। কামাখ্যাগুড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক প্রাণকৃষ্ণ সাহা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে শিশু, প্রসূতি, অস্থি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ ও উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার দাবি জানিয়ে আসছি। একসময় প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে চিঠিপত্র পাঠানো হয়েছে। কুমারগ্রাম ব্লকের গরিব মানুষের সংখ্যাই বেশি। তাই সাধারণ মানুষের স্বার্থে এই হাসপাতালের পরিষেবার মানোন্নয়ন দরকার। আলিপুরদুয়ারের সিএমওএইচ সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে পাঁচজন চিকিৎসক রয়েছেন। আরও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা। কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসক কম থাকায় এখনই দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে যতে হাসপাতালে সুষ্ঠু চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যায় তা দেখা হবে।