যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
দীর্ঘ বছর আগে শিলিগুড়ি শহরে সিটিবাস পরিষেবা চালু করেছিল বামফ্রন্ট সরকার। তারাও সেই পরিষেবা সচল রাখতে পারেনি। এরপর নাগরিকদের দাবি মতো তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত শিলিগুড়ি পুরসভার তৎপরতায় সেই পরিষেবা ফের চালু করে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম। গত মার্চ মাসে ঢাকঢোল পিটিয়ে সিটিবাস চালু করা হয়।
একটি বাস এনজেপি থেকে দেশবন্ধুপাড়া, সফদর হাসমিচক, বিধান রোড, সেভক রোড, চেকপোস্ট হয়ে শালুগাড়া পর্যন্ত চলছে। আরএকটি বাস চলছে এনজেপির নেতাজি মোড় থেকে চম্পাসারি ও মিলন মোড় পর্যন্ত। সেটি গেটবাজার ও বিধান মার্কেট ভায়া হয়ে চলাচল করে। বাসগুলি ২০-২৫ সিটের। এগুলির সর্বোচ্চ ভাড়া ২০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা। যাত্রীর অভাবে দু’টি বাসই লোকসানে চলছে বলে জানান মেয়র। যার ফলে পুরসভা ও এনবিএসটিসির এই যৌথ উদ্যোগ ফের বন্ধ হবে বলে আশঙ্কা।
মেয়র বলেন, দু’মাসে বাস দু’টি চালাতে জ্বালানি বাবদ এনবিএসটিসির খরচ হয়েছে প্রায় ৮৩ লক্ষ টাকা। কিন্তু বাসগুলিতে সেভাবে যাত্রী হচ্ছে না। নিয়মিত সেগুলি চালিয়ে এনবিএসটিসির কোনও লাভ হচ্ছে না। দু’টি বাসই লোকসানে চলছে। এনবিএসটিসি ভর্তুকি দিয়ে আর কতদিন বাস চালাতে পারবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
কিন্তু, লোকসান কেন? এ ব্যাপারে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন মেয়র। তিনি বলেন, বাসগুলি নেতাজি মোড় থেকে চালাতে হচ্ছে। ট্রেন থেকে নামার পর যাত্রীরা সেই মোড় পর্যন্ত যাচ্ছেন না। তাই এনজেপি স্টেশনের মুখ থেকে বাসগুলি ছাড়তে না পারলে এই পরিষেবা চাঙ্গা হবে না। এ ব্যাপারে একবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, রেল জোর করে বাসগুলিকে স্টেশনের গেট থেকে সরিয়ে দেয়। তাছাড়া সেখানে সিটিঅটোর স্ট্যান্ডও রয়েছে। এদের একাংশেরও আপত্তি রয়েছে।
এখন বিষয়টি নিয়ে মেয়র রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও আলোচনা করতে রাজি নন। তিনি জানান, আগামী ৪ জুনের পর দেশে নতুন সরকার গঠিত হবে। তখনই তিনি এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হবেন। তাঁর বক্তব্য, নতুন সরকার গঠনের পর এক মিনিটের মধ্যে তিনি সেই সমস্যা মেটাবেন।