নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
গাজোলের বাসিন্দা তথা জেলা বিজেপির সহ সভাপতি মিলন দাস বলেন, আলালের সুরমণিতে সেতুর শিল্যানাস নতুন বিষয় নয়। ২০১৯ সালে একবার শিল্যানাস হয়। তারও আগে একবার শিল্যানাস হয়েছিল। কিন্তু এখনও কাজ শুরু হয়নি। আলালের মানুষকে চরম বোকা বানাচ্ছে তৃণমূল। সেতু না থাকায় এলাকার মানুষের মারাত্মক সমস্যা হয়। এনিয়ে বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ। আমরা মানুষের সেই ক্ষোভকেই ভোটের প্রচারে ইস্যু করতে চাইছি।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া গাজোলের বিধায়ক দীপালি বিশ্বাস বলেন, এর আগে যে দলে ছিলাম, সেই দলের জনপ্রতিনিধি হিসেবে ওই সেতুর পক্ষে সওয়াল করেছিলাম। রাজ্য সরকারের কাছে সেতুটির ব্যাপারে তদ্বিরও করা হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য জানিয়ে দেয়, ওই সেতুর জন্য টাকা নেই। আলাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূলের ফারুক হোসেন বলেন, সেতু এখনও হয়নি ঠিকই, তবে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি। আগামী দিনে নিশ্চয় সেতুটি হবে।
প্রসঙ্গত, আলালের সুরমণিতে কংক্রিটের সেতুর দাবি দীর্ঘদিনের। ফি বছর বর্ষায় শ্রীমতি নদীতে জল ভরে যায়। তখন গ্রামবাসীরা বাধ্য হয়ে নৌকায় যাতায়াত করেন। সেই সময় নদীর দুই পার সংলগ্ন ইমামনগর, জোড়াগাছি, আলাল, পাহারভিটা, রাঙাপুকুর, রাজা রামচক, ইটবান্দা, লক্ষ্মীনারায়ণপুর, উত্তর ও দক্ষিণ রাজা রামচকের মতো একাধিক গ্রামের ২০ হাজারের মতো বাসিন্দা মারাত্মক সমস্যায় পড়েন। চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় তাঁদের। পড়ুয়ারা স্কুলে যেতে পারে না। রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতেও বিপাকে পড়তে হয়। ভোট এলেই গ্রামের মানুষের মন জয়ের চেষ্টায় নেতারা এসে গাল ভরা প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ভোট ফুরলেই তাঁরা বেমালুম ভুলে যান।