বাড়তি অর্থ পাওয়ার যোগ রয়েছে। পদোন্নতির পাশাপাশি কর্মস্থান পরিবর্তন হতে পারে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পক্ষে থাকবে। ... বিশদ
বুধবার সকালে পুলিস ও প্রশাসন শহরের বিভিন্ন বাজারে দোকানের সামনে লক্ষ্মণবেখা টেনে দেন। একজন থেকে আরও একজন যাতে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়ান, সেজন্যই এই উদ্যোগ। কিন্তু বুধবার রাতের বৃষ্টিতে সাদা রং দিয়ে আঁকা সেই দাগ অনেক জায়গাতেই ধুয়েমুছে গিয়েছে। তাই দূরত্ব বজায় রাখতে এগিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ীরাই। সুভাষপল্লির বাজারে যেমন দেখা গেল প্যাকিং বাক্স দিয়ে এক ক্রেতা থেকে আরও এক ক্রেতার মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে। হায়দরপাড়ার দিকে আবার দেখা গেল এই কাজে ছোট ছোট বেঞ্চের ব্যবহার। দোকানদারি চালাতে চালাতেই কিন্তু ক্রেতারা দূরত্ব বজায় রাখছেন কি না, সেদিকেও লক্ষ্য রাখছেন ব্যবসায়ীরা।
সব্জি ও আনাজের দামও বাড়েনি সেরকম। শহরের বাজারে এদিন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা কেজি দরে, পটল ছিল ১০০ টাকা কেজি, বড় ফুলকপি ৪০ টাকা ও টমেটো ৩০ টাকা কেজি দরে। গোটা মুরগি ১১০ টাকা কেজি। বাজারে সব্জির যোগানও ছিল যথেষ্ট। ক্রেতাদের আশ্বস্ত করতে দেখা গিয়েছে ব্যবসায়ীদের। সেইসঙ্গে সাধারণ মানুষের মজুতদারি ঠেকাতে উদ্যোগী ভূমিকাও নিয়েছেন তাঁরা। ঘোঘোমালির একটি ছোট মুদির দোকানের মালিক সুশান্ত সাহা বলেন, কাউকে একবারে বেশি জিনিস দিচ্ছি না। প্রয়োজন মতো সামগ্রীই দিচ্ছি। আরও এক মুদির দোকানদার তরুণ সরকার বলেন, প্রয়োজন বুঝে জিনিস দিচ্ছি। অনেকেই বেশি বেশি জিনিস চাইছেন। আমার দোকানের ক্রেতারা তো সব স্থানীয় বাসিন্দা। মোটামুটি সবাইকেই চিনি। এদিন তরুণবাবুকে দেখা গেল চিপস ও চানাচুর কিনতে আসা এক যুবককে ধমক দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিলেন। তাঁর সাফ কথা, সরকার ঘরে থাকতে বলেছে। চিপস এমন কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস না, যেটা কিনতে বাইরে বেরোতে হবে।
রবীন্দ্রনগর মেইন রোড ধরে বাজারে যাচ্ছিলেন মধ্যবয়স্ক দুই বন্ধু। একজন রাস্তার এই পারে, অন্যজন ওই পারে। গলা তুলে চলছিল গল্প। জিজ্ঞাসা করায় বললেন, দূরত্ব বজায় রাখছি। ফাঁকা রাস্তায় এভাবে যেতে তো কোনও অসুবিধা হচ্ছে না।