সংবাদদাতা, ইসলামপুর: বুধবার দুপুরে ইসলামপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহশিক্ষকের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় শহরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সরস্বতী পুজোর পাওনাগণ্ডা মেটানো নিয়ে ওই দুই শিক্ষকের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে বলে অভিযোগ। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম দুই শিক্ষকই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন প্রধান শিক্ষক মহম্মদ সলিমুদ্দিন। স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সহশিক্ষক বিপ্লব কুমার সরকার। সলিমুদ্দিন সাহেব বলেন, বিদ্যালয়ের সরস্বতী পুজোর দায়িত্বে ছিলেন সহশিক্ষক বিপ্লববাবু। পুজোর জন্য চাঁদা বাবদ যে টাকা তোলা হয়েছিল তা স্কুলের অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়। চেকের মারফতে ওই টাকা তুলে পাওনাদারদের মেটানো হবে। এর জন্য চেকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সাক্ষর প্রয়োজন। নানা কারণে এই ক’দিনে সেই চেকে সই করানো হয়নি। বুধবার তাঁর পরিবারে একজনের মৃত্যু হওয়ায় এদিনও চেকে সই করানো সম্ভব হয়নি। সহশিক্ষক বিপ্লববাবু চেকের জন্য চাপ সৃষ্টি করেন ও গালিগালাজ করেন। প্রতিবাদ করায় আমাকে তিনি মারধর করেছেন। বিপ্লব সরকার বলেন, পুজার দায়িত্বে আমি ছিলাম। প্যান্ডেল থেকে শুরু করে লাইট সমস্তটাই ভাড়া করা হয়েছিল। পাওনাদারেরা আমার কাছে ফোন করে টাকা চাচ্ছিল। বৃষ্টির মধ্যে ভিজে ভিজে যারা কাজ করেছে তাদের টাক দিতে পারছিলাম না। শুধুমাত্র প্রধান শিক্ষকের উদাসীনতার কারণে সমস্যা হয়েছে। চেকে সাক্ষর করানো বিষয়ে তিনি উদ্যোগ নেননি। আজ চেকের বিষয়ে কথা বলতে গেলে বিনা কারণেই আমাকে থাপ্পর মারে।নিজের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে পুজোর বাবদ ৫১ হাজার টাকা জমা হয়েছিল। ওই টাকা চেকের মাধ্যমে তুলে পাওনাদারদের মিটিয়ে দেওয়ার কথা। এদিন স্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা শুরুর মুখে এই ঘটনাটি ঘটেছে। বিষয়টি যাতে প্রকাশ্যে না আসে সেজন্য বিষয়টি নিয়ে কোনও শোরগোল করা হয়নি। দুই শিক্ষকের কেউই এখনও এবিষয়ে পুলিসে অভিযোগ করেননি।