বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
দক্ষিণ পাকুরিতলায় ধৃত উপ প্রধানের বাড়ি থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে মনিয়ারপুলে তাঁর শ্বশুরবাড়ি। পুলিসের দাবি, ধৃত শম্ভু জানিয়েছেন, খুনের ঘটনার পর তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অজান্তে ওই পিস্তল ও গুলি শ্বশুরবাড়ির পরিত্যক্ত ঠাকুরঘরের এক কোণে রেখে যায়।
এরপরে তপসিখাতা বাজারের(জয়বাংলা হাট) হাটখোলায় গুলির ঘটনার পুনর্নির্মাণের সময় অভিযুক্ত উপপ্রধানকে দেখে স্থানীয় কয়েকশো বাসিন্দা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। বাসিন্দারা পুলিস ও অভিযুক্তকে দেখে ঘটনাস্থলে বিক্ষোভও দেখায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পুলিস মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই ধৃতকে নিয়ে আলিপুরদুয়ার থানার দিকে রওনা দেয়।
তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় পুলিস এনিয়ে এখনও পর্যন্ত দু’টি অস্ত্র উদ্ধার করতে সক্ষম হল। এর আগে গত সোমবার ওই খুনের ঘটনায় ধৃত আর এক অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী অরবিন্দ বর্মনকে দিয়েও পুলিস ঘটনার পুর্নর্নিমাণ করায়। অরবিন্দ বর্মন দেখিয়ে দেওয়ার পর পুলিস তপসিখাতা বাজারে স্থানীয় একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের প্রাচীরের দেওয়ালের পাশে মাটি খুঁড়ে একটি ওয়ান শর্টার পিস্তলও উদ্ধার করে।
জেলার পুলিস সুপার সুনীল কুমার যাদব বলেন, ধৃত শম্ভু রায়কে জেরা করে খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত নাইন এমএম পিস্তলটি ও তিনটি গুলি মনিয়ারপুলে তাঁর শ্বশুরবাড়ির পরিত্যক্ত ঠাকুরঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতকে দিয়ে এদিন ওই খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করানো হয়েছে।
তপসিখাতা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক উত্তম দাস বলেন, পুলিসের কাজে আমরা খুশি। পুলিস অভিযুক্তদের ধরা ছাড়াও যেভাবে দুষ্কৃতীদের জেরা করে একের পর এক বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করছে তাতে সত্যিই স্বস্তিবোধ হচ্ছে। যদিও মৃত তৃণমূল কর্মী পরিবার ওই খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে ও অস্ত্র উদ্ধারে খুশি নন। মৃত তুষারের জ্যাঠা অরুণ চন্দ্র বর্মন বলেন, পুলিস অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে যেভাবে তাদের ব্যবহৃত অস্ত্রগুলি উদ্ধার করছে তাতে আমরা খুশি। কিন্তু আমরা চাই আইন অনুসারে তুষারের খুনীরা যেন সবাই কঠোর শাস্তি পায়।
প্রসঙ্গত, গত ২২ জানুয়ারি রাতে তপসিখাতা বাজারের হাটখোলায় একেবারে কাছ থেকে তুষারকে গুলি করা হয়। ঘটনাস্থলেই ওই তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। এই খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত চার জনের মধ্যে দলের পঞ্চায়েত সদস্য সোনা রায় ওরফে বাপ্পাকে খুনের ঘটনার রাতেই কোচবিহারের পুন্ডিবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। এরপর অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী অরবিন্দ বর্মনকে মালদহের কালিয়াচক থানার কালিপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। অরবিন্দ ধরা পড়ার পর উপপ্রধান শম্ভু ও আর এক তৃণমূল কর্মী বিদ্যুৎ রায়কে পুলিস গ্রেপ্তার করে ফালাকাটার একটি ধাবা থেকে। অভিযুক্তরা বর্তমানে সবাই পুলিশি হেফাজতে।