বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, এটা কেন্দ্রীয় সরকারের গাফিলতি। রায়গঞ্জের মানুষের প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ চলছে। আমরা এনিয়ে বহুবার রেলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। তাতে কোনও কাজ হয়নি।
রায়গঞ্জের বিধায়ক কংগ্রেসের মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নত করার জন্য আমরা বহুবার রেলের কাছে দাবি জানিয়েছি। তাতে কোনও কাজ হয়নি।
রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অতনুবন্ধু লাহিড়ি বলেন, ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের খুব অল্প অংশে শেড থাকায় সাধারণ যাত্রী সহ ব্যবসায়ীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বর্ষার সময়ে দুর্ভোগ বাড়ে। সম্প্রতি বৃষ্টিতে রাধিকাপুর এক্সপ্রেসে ওঠার সময়ে অধিকাংশ যাত্রীই ভিজে যান। ওই অংশে আলো কম থাকাতেও সমস্যা হচ্ছে। আমরা এই বিষয়টি নিয়ে আগেও রেলের দৃষ্টি আর্কষণ করেছি। পাশাপাশি ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্যও বাড়ানোর দাবি রেলের কাছে রেখেছি।
স্টেশন ম্যানেজার রাজু কুমার বলেন, রাধিকাপুর ট্রেনে বগির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ফলে সেটিকে এখন ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড় করানো যাচ্ছে না। ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ওই ট্রেনটিকে দেওয়া হয়। শেড দেওয়ার বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাঁরাই এব্যাপারে পদক্ষেপ করবে। তবে ওপর মহল থেকে এখনও কোনও নির্দেশিকা আসেনি।
রায়গঞ্জ স্টেশনে দু’টি মাত্র প্ল্যাটফর্ম আছে। এই স্টেশনের ওপর দিয়ে প্রতিদিন মোট ছ’জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চলে। ক্রসিং না থাকলে কলকাতাগামী রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছাড়া বাকি সব ট্রেনই ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম দিয়ে যাতায়াত করে। আগে রাধিকাপুর এক্সপ্রেসে ১৫টি বগি ছিল। এখন এই বগির সংখ্যা বাড়িয়ে ১৯টি করা হয়েছে। এই ১৯টি বগি হওয়ার পর থেকে ট্রেনটিকে এখন আর ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড় করানো হয় না বললেই চলে। ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেনটি দাঁড়ালে চারটি বগি প্ল্যাটফর্মের বাইরে চলে যায়। এতে যাত্রীদের রেল লাইনের ওপরে ওঠা-নামা করতে হয়। এই সমস্যার কারণেই ট্রেনটিকে ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড় করানো হচ্ছে। ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে সামান্য জায়গায় শেড রয়েছে। প্ল্যাটফর্মে রাধিকাপুর এক্সপ্রেস সন্ধ্যায় এসে দাঁড়ালে চার-পাঁচটি বগির বাদে বাকি বগি শেডের বাইরে থাকে। ওই জায়গায় আলোও ঠিকমতো নেই। এতে যাত্রীদের সমস্যা হচ্ছে। অসুস্থ, প্রবীণদের প্রতিদিন অসুবিধা করেই ট্রেনে উঠতে হচ্ছে।