বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
ফলে পুরসভা গঠনের এত বছর পরেও আলিপুরদুয়ার জেলা সদরের নাগরিকদের এখনও সেই মান্ধাতার আমলের টিউবওয়েল ও কুয়োর জল দিয়েই দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে হচ্ছে। এর ফলে বাসিন্দাদের জলবাহিত পেটের নানা রোগে ভুগতে হচ্ছে। রোগ, ব্যাধি এড়াতে অনেককেই তাই অতিরিক্ত দাম দিয়ে বাইরে থেকে জল কিনে খেতে হয়। পুরসভার বিদায়ী বোর্ড অবশ্য জানিয়েছে, পুর এলাকায় বাড়ি বাড়ি পানীয় জল প্রকল্পের কাজের জন্য ১০২ কোটি টাকার বরাদ্দ মিলেছে। ওই প্রকল্পের কাজ শেষ হলেই পুর এলাকায় পরিস্রুত পানীয় জলের দীর্ঘদিনের সমস্যা মিটে যাবে। পুরসভার বিদায়ী বোর্ডের চেয়ারম্যান শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের আশিস দত্ত বলেন, পুরসভার সব ওয়ার্ডে পিএইচই’র জলের পাইপ লাইন থাকলে এই সমস্যা হতো না। তবে পুর এলাকার বাড়ি বাড়ি পানীয় জল প্রকল্পের জন্য ১০২ কোটি টাকার বরাদ্দ মিলেছে। ওই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পানীয় জলের সমস্যা মিটে যাবে।
পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের অনিন্দ্য ভৌমিক বলেন, বাড়ি বাড়ি পানীয় জল প্রকল্প না হলেও আমরা বোর্ডে ক্ষমতায় থাকার সময় পিএইচই’কে দিয়ে চেষ্টা করা হয়েছিল সব ওয়ার্ডে পানীয় জলের পাইপ লাইন নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু শাসক দল অনাস্থা আনায় বোর্ড আমাদের হাতছাড়া হয়। ফলে আর কাজ এগোয়নি।
পিএইচই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পুর এলাকায় জলের তিনটি রিজার্ভার রয়েছে। কিন্তু সেগুলি ২৫ বছরের পুরনো হওয়ায় ওই জল দিয়ে পুরসভার সব ওয়ার্ডের চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের জেলা আধিকারিক স্বরূপব্রত বিশ্বাস বলেন, তিনটি রিজার্ভার দিয়ে জলের চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। তাছাড়া পুরনো হওয়ায় রিজার্ভারগুলি আগের মতো কাজও করছে না।
পুরসভা ও পিএইচই সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভার ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২, ১৯ ও ২০ এই তিনটি ওয়ার্ড ছাড়া বাকি ১৭টি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা পিএইচই’র পানীয় জল পরিষেবা থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত। বাকি ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে কোনও কোনও ওয়ার্ডে পিএইচই’র পাইপ লাইন থাকলেও সেগুলি বর্তমানে অকেজো হয়ে রয়েছে। নয় হাজার ৫৮ বর্গকিমি এলাকা নিয়ে আলিপুরদুয়ার পুরসভা। পুরসভার প্রতি বর্গকিমিতে ছ’ হাজার ৮৫০ জন বাসিন্দা বাস করে। পুরসভার পরিস্রুত পানীয় জল প্রকল্প না থাকায় ৮০ শতাংশ বাসিন্দাকে এখনও টিউবওয়েল ও কুয়োর জল দিয়েই প্রয়োজন মেটাতে হচ্ছে। অপরিস্রুত পানীয় জল খাওয়ার জন্য বাসিন্দাদের অনেককেই বছরভর জলবাহিত পেটের নানা রোগে ভোগেন। যাদের সামর্থ্য আছে তারা বাইরে থেকে জল কিনে খাচ্ছেন। সব মিলিয়ে পুরসভার বাড়ি বাড়ি পানীয় জল প্রকল্পের কাজ কবে শেষ হবে বাসিন্দারা এখন সেদিকেই তাকিয়ে আছেন।