নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
গত ৩ ফেব্রুয়ারি নিউ ইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলিতে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন ডেমোক্র্যাট সদস্য নাদির সায়েগ ও আরও ১২ জন। তাঁদের প্রস্তাব ছিল, ৫ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে আমেরিকান কাশ্মীর দিবস হিসেবে ঘোষণা করুন গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো। প্রস্তাবনায় কাশ্মীরি মানুষের পৃথক সত্ত্বা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যর কথা তুলে ধরা হয়েছে। সেই প্রস্তাবই পাশ হয়েছে অ্যাসেম্বলিতে। প্রসঙ্গত, ৫ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে কাশ্মীর একতা দিবস হিসেবে পালন করে থাকে পাকিস্তান। আর এই প্রস্তাবের পিছনেও যে তাদের মদত রয়েছে, তা সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলাখুলি স্বীকার করেছে আমেরিকার পাক দূতাবাস। এই প্রস্তাব উত্থাপনের জন্য নাদির সায়েগকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন পাক কনস্যুলেট জেনারেল।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নয়াদিল্লি। একইসঙ্গে রাজ্যকে ভেঙে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপান্তরিত করা হয়। সেই ঘটনার পর থেকেই কাশ্মীরের বিষয়টি আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরার মরিয়া প্রয়াস নিয়েছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক স্তরে যাতে ভারতের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনা যায়, তার চেষ্টা চালাচ্ছে ইসলামাবাদা। কিন্তু ভারত প্রথম থেকেই বলে আসছে, কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই কাশ্মীর নিয়ে যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক, তা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু এবার নিউ ইয়র্ক অ্যাসেম্বলিতে কাশ্মীর আমেরিকান দিবসের প্রস্তবনা পাশ হওয়ায় বিড়ম্বনা বাড়ল মোদি সরকারের।