সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
২০১২ সালে ক্রিসপার-মডিফায়েড জিন এডিটিং পদ্ধতির কথা সামনে আনেন মার্কিন বায়োকেমিস্ট জেনিফার এবং ফরাসি মাইক্রো বায়োলজিস্ট ইমানুয়েল। এখনও পর্যন্ত মলিকিউলার বায়োলজিতে সবথেকে আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি এই ক্রিসপার জিন এডিটিং। ধরা যাক, একজন ব্যক্তি কোনও মারণ বা ক্রনিক রোগে ভুগছেন। মূলত তার জন্য দায়ী কোনও জিন বা জিনের কোনও একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন তা বাদ দিয়ে জিন পুনর্গঠন করলে সংশ্লিষ্ট রোগকে এক লহমায় মুছে ফেলা সম্ভব। এটাই হল জিন এডিটিং বা জিন সম্পাদনা। ইমানুয়েল ও জেনিফারের জিন এডিটিং পদ্ধতির নাম ‘ক্রিসপার-ক্যাস৯’। এই পদ্ধতি অবলম্বন করে ক্যান্সার, অটিজমের মতো স্নায়ু রোগ বা জন্মসূত্রে প্রাপ্ত দীর্ঘমেয়াদী রোগ একদিনে নিরাময় সম্ভব। যেমনভাবে উদ্ভিদ বিজ্ঞানে শস্যের জেনেটিক বিন্যাস পরিবর্তন ঘটিয়ে খরা ও কীট মোকাবিলাকারী শস্য তৈরি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রসায়ন বিজ্ঞানের নোবেল কমিটির প্রধান ক্লিস গাসটাফসন বলেন, ‘জিনের অসীম ক্ষমতা রয়েছে। যা আমাদের সকলকে প্রভাবিত করে। এই আবিষ্কার বিজ্ঞানের প্রাথমিক বিষয়গুলিতে বিপ্লব এনে দিয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে নয়া দিগন্তের উন্মোচন ঘটিয়েছে।’ গত মঙ্গলবারই চতুর্থ মহিলা বিজ্ঞানী হিসেবে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেয়েছেন আমেরিকার আন্দ্রেয়া ঘেজ। এবার রসায়ন বিভাগেও নোবেল জিতে তাক লাগালেন দুই মহিলা। এর আগে মাত্র পাঁচজন মহিলা এই বিভাগে নোবেল পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সর্বপ্রথম মেরি কুরি। তার আগে পদার্থবিদ্যায় নোবেলও পেয়েছিলেন তিনি।