সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
নতুন কৌশল দুই শিবিরেরই। এক পক্ষ রক্ষণাত্মক, আর দ্বিতীয় আগ্রাসী। দুই ক্ষেত্রেই কারণ একটাই—ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট করোনার স্পাইকে আটকে যেতেই ছক বদলে ফেলেছে ডেমোক্র্যাট শিবির। আরও স্পষ্টভাবে বলতে গেলে কমলা হ্যারিস। মাইক পেন্স নন, বিতর্কে কমলা হ্যারিসের লক্ষ্য স্বয়ং ট্রাম্প। বিভিন্ন ইস্যুতে ট্রাম্পের সঙ্গে পেন্সকে জুড়ে আক্রমণ শানানোর পরিকল্পনা রয়েছে হ্যারিসের। কীভাবে শুরু হতে পারে বিতর্ক? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কমলা হ্যারিসের মূল অস্ত্র অব্যশ্যই করোনা মহামারী। হাতে রয়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, সুপ্রিম কোর্ট, মানবাধিকারের মতো ইস্যু। সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবারের বিতর্কে প্রথম থেকেই ঝড় তুলতে পারেন এই সেনেটর। লক্ষ্য ট্রাম্প বিরোধিতা হলেও আজকের বিতর্কে ব্যক্তি আক্রমণের সম্ভাবনা কম। টিম হ্যারিস সূত্রে খবর, মাইক পেন্সের সঙ্গে ট্রাম্পকে গুলিয়ে ফেললে যে ভুল হবে, তা বিলক্ষণ জানেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী। ট্রাম্প আগ্রাসী হলেও মুখ ফস্কে লুজ বল দিতে পারেন। পেন্স কিন্তু তেমন নন! সম্প্রতি মিশিগানে বক্তব্য রাখার সময় ট্রাম্পকে সরাসরি আক্রমণ করেননি বিডেনও। একই পথে হাঁটতে পারেন কমলাও। যদিও কারণটা ভিন্ন। তিনি জানেন, ট্রাম্পের বেলাগাম মন্তব্য নিয়ে পেন্সকে তোপ দাগলে ফল উল্টো হতে পারে। তার বদলে ইস্যুভিত্তিক প্রশ্নে অনেক বেশি ফায়দা তোলা যাবে। বিতর্ক সভায় মহিলা প্রার্থীর ভূমিকা নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছিল টিম হ্যারিস। দেখা গিয়েছে, মহিলা প্রার্থী কি বলছেন, তা নিয়ে বিশেষ মাথাব্যথা নেই জনসাধারণের। তাঁদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মহিলা প্রার্থীর উপস্থিতি। এই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হচ্ছে হ্যারিসকে।
প্রস্তুতিতে ফাঁক রাখছেন না মাইক পেন্সও। চিফ অব স্টাফ মার্ক শর্টের তত্ত্বাবধানে চলছে ব্লু প্রিন্ট তৈরির কাজ। মার্কিন কংগ্রেসে পেন্সের পুরনো সতীর্থদের সঙ্গেও চলছে আলোচনা। প্রস্তুতি নিখুঁত করতে পেন্সের প্রচার টিমের তরফে পাঠানো হয়েছে একগুচ্ছ নথি-তথ্য। যা থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হাতে এসেছে বলে খবর। বিতর্ক মঞ্চে কমলা হ্যারিস খুব সহজে পেন্সকে নাস্তানাবুদ করতে পারবেন—এমন আশা করছেন না কোনও বিশেষজ্ঞই। তাঁদের মতে, ২০১৬ সালে ডেমোক্র্যাট ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী টিম কেইনও বিতর্কে মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছিলেন। ট্রাম্পের বিভিন্ন বক্তব্য নিয়ে পেন্সের জবাব চান টিম। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। প্রশ্ন এড়িয়ে, অন্য প্রসঙ্গ টেনে ৯০ মিনিটের বিতর্কে দক্ষভাবে রক্ষণ সামাল দেন পেন্স। এবারেও একই ছকে হাঁটতে পারেন তিনি।
বিতর্ক সভার আগে এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য। প্রশ্ন ছিল, এই নির্বাচন মাইক পেন্স ও কমলা হ্যারিসের মধ্যে হলে কে এগিয়ে? নথিভুক্ত ভোটারদের মধ্যে ৪৬ শতাংশ কমলা হ্যারিস ও ৪৫ শতাংশ মাইক পেন্সের পক্ষে। অধ্যাপক জোয়েল গোল্ডস্টেইনের মতে, প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মতো না হলেও বহু ভোটারই ভাইস প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের দিকে নজর রাখেন। এই বিতর্কের প্রভাবও ভোটারদের উপর পড়তে পারে। এর আগে কোনও কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা প্রার্থী ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে লড়েননি। কমলা হ্যারিস প্রার্থী হওয়ায় এশীয়-আমেরিকান, আফ্রিকান-আমেরিকান ভোটাররা এই বিতর্কের দিকে তাকিয়ে থাকবেন। আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সঙ্গেই নির্ধারিত হবে ভাইস প্রেসিডেন্টের ভাগ্য। পরীক্ষা আজ। ফলপ্রকাশ, ৩ নভেম্বর।