বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
প্রতি বছর ১ জানুয়ারি প্রতিটি শিশুর জন্মকে বিশেষভাবে উদযাপন করে ইউনিসেফ। পাশাপাশি, নবজাতকের জন্য দিনটি খুবই পবিত্র বলেও মনে করা হয়। তাই, অধিকাংশ বাবা-মা চান, বছরের প্রথম দিনেই ঘর আলো করে জন্ম নিক তাঁদের সন্তান। ইউনিসেফের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর অঁরিয়েত্তা ফোর এপ্রসঙ্গে বলেন, ‘নতুন বছর ও নতুন দশক আমাদের আশা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণের নতুন সুযোগ করে দিয়েছে। তবে, তা শুধু নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য নয়, যারা জন্ম নিতে চলেছে তাদের জন্যও।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি শিশুর মধ্যেই অফুরান সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিবছর ক্যালেন্ডারে জানুয়ারি মাস এলেই সেকথা আমরা সকলকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। যাতে, জীবনে চলার পথে প্রত্যেক শিশু সেই সম্ভাবনার বিকাশ ঘটানোর সুযোগ পায়।’
২০২০ সালের প্রথম শিশুটি সম্ভবত জন্ম নিয়েছে ফিজিতে। এবং দিনের শেষ সদ্যোজাতটি জন্মেছে আমেরিকায়। বিশ্বজুড়ে যত সংখ্যাক শিশু এই দিন ভূমিষ্ঠ হয়েছে, তাদের অর্ধেকেরও বেশি জন্মগ্রহণ করেছে আটটি দেশে। এগুলি হল – ভারত (৬৭ হাজার ৩৮৫), চীন (৪৬ হাজার ২৯৯), নাইজেরিয়া (২৬ হাজার ৩৬), পাকিস্তান (১৬ হাজার ৭৮৭), ইন্দোনেশিয়া (১৩ হাজার ২০), আমেরিকা (১০ হাজার ৪৫২), কঙ্গো (১০ হাজার ২৪৭) এবং ইথিওপিয়া (৮ হাজার ৪৯৩)।
বছরের প্রথম দিনটি শিশুজন্মের জন্য পবিত্র ধরা হয়। কিন্তু, বাস্তবে সব সদ্যোজাতের পরিবারের জন্য বিষয়টি সমান আনন্দের হয় না। পরিসংখ্যান বলছে, বয়স এক মাস হওয়ার আগেই ২০১৮ সালে ২৫ লক্ষ নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। সেই বছরের ১ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া শিশুর সংখ্যার নিরিখে যা প্রায় এক তৃতীয়াংশ। মূলত, নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রসব, প্রসবকালীন জটিলতা ও সেপসিসের মতো সংক্রমণের কারণেই তাদের মৃত্যু হয়। এছাড়া, প্রতি বছর প্রায় ২৫ লক্ষ শিশু জন্মানোর আগেই মারা যায়।
যদিও, আগের থেকে শিশুমৃত্যুর হার অনেকটাই কমেছে বলে ইউনিসেফের তরফে দাবি করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক এই সংগঠন জানিয়েছে, বিগত তিন দশকে এই ব্যাপারে অভূতপূর্ব সাফল্য পাওয়া গিয়েছে। জন্মের পাঁচ বছরের মধ্যে মৃত্যু হওয়া শিশুর সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে, নবজাতকের ক্ষেত্রে অগ্রগতি খুব ধীরে হচ্ছে বলে মেনে নিয়েছে ইউনিসেফ। এই সমস্যা সমাধান করতে স্বাস্থ্যকর্মীদের আরও ভালো প্রশিক্ষণ দেওয়ার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, নবজাতক ও মা দু’জনেই যাতে সঠিক ওষুধ পান, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে।
ভারতের জনসংখ্যা অত্যন্ত দ্রুতহারে বেড়ে চলেছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের অনুমান, ২০২৭ সালের মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে প্রতিবেশী চীনকে ছাপিয়ে যাবে ভারত। ২০১৯ থেকে ২০৫০-এর মধ্যে দেশে ২৭ কোটির বেশি শিশু জন্ম নেবে। পাশাপাশি, এই সময়সীমার মধ্যে নাইজেরিয়ায় ২০ কোটি নবজাতকের জন্ম হবে। ২০৫০-এর মোট জনসংখ্যার ২৩ শতাংশই হবেন এই দুই দেশের বাসিন্দা।