হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
শুধু তাই নয়, মোদি সরকারের ৩৭০ ধারা রদের সিদ্ধান্ত আসলে পাকিস্তানের জনক মহম্মদ আলি জিন্নার দুই দেশের তত্ত্বকেই মান্যতা দিচ্ছে বলেও দাবি করেছেন ইমরান। তাঁর কথায়, জিন্না জানতেন যে আরএসএস চায় ভারত শুধু হিন্দুদের হবে এবং সমস্ত মুসলিমকে সেখানকার দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক। উনিই প্রথম ওদের অ্যাজেন্ডা বুঝতে পেরেছিলেন। যে সমস্ত কাশ্মীরি নেতারা একসময় আমাকে বলতেন যে পাকিস্তান তৈরি হওয়া উচিত ছিল না, তাঁরাই এখন জিন্নার তত্ত্বকে সঠিক বলছেন। পাকিস্তান সব ধর্মের মানুষের সাম্যের ভিত্তিতে গঠিত হয়েছে বলেও দাবি তাঁর।
সোমবার ৩৭০ ধারা তুলে নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারত। পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করতে গতকালই তড়িঘড়ি সংসদের উচ্চ ও নিম্ন কক্ষে যৌথ অধিবেশনের ডাক দেন পাক প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। কিন্তু, এদিনের আলোচ্যসূচিতে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা কথাটির সরাসরি উল্লেখ ছিল না। জাতীয় সংসদের সচিবালয় থেকে প্রকাশিত আলোচ্যসূচিতে লেখা ছিল, প্ররোচনা ছাড়াই সাধারণ নাগরিকদের উপর গুলিগোলা বর্ষণ বৃদ্ধি, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার ক্লাস্টার বোমা বিস্ফোরণ, কাশ্মীরে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন ও তাদের অত্যাচার এবং সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে অধিবেশনে আলোচনা হতে পারে। এই নিয়ে সংসদের দুই কক্ষেই বিরোধীদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় ইমরান খানের সরকারকে। গণ্ডগোলের জেরে জেরে অধিবেশন মুলতুবি করে দিতে বাধ্য হন স্পিকার আসাদ কাইজার।
এদিকে, এই পরিস্থিতির মধ্যেই এদিন বিকেলে সেনা সদর দপ্তরে কোর কমান্ডারদের নিয়ে বৈঠকে বসেন পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া। এই কোর কমান্ডার্স কনফারেন্স পাক সেনার সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক ফোরাম। বৈঠকের একটিই অ্যাজেন্ডা ছিল, কাশ্মীর। বৈঠকে সেনা কমান্ডারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান আর্মি এই সংগ্রামের শেষ পর্যন্ত কাশ্মীরিদের পাশে থাকবে। কাশ্মীরিদের জন্য আমরা যে কোনও সীমা অতিক্রম করার জন্য প্রস্তুত।’ কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান সরকারের অবস্থানকে সমর্থনও জানিয়েছে এই ফোরাম। সেনার আরও দাবি, পাকিস্তান কোনও দিনও ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ বা ৩৫এ ধারাকে মান্যতা দেয়নি।
অন্যদিকে, কাশ্মীর ইস্যুতে গত ১ আগস্ট রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেইরেসকে চিঠি লিখেছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। তাঁর অভিযোগ ছিল, ভারত জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে দেওয়ার ভিত্তি প্রস্তুত করছে। যা রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনার বিরোধী। কাশ্মীরের পরিস্থিতি জানতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের তথ্যানুসন্ধান অভিযান চালানোর প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি। সোমবার রাতে এই চিঠি প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক। সেই সঙ্গে তাদের পক্ষ থেকে সেদেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অজয় বিসারিয়াকে ডেকে পাঠিয়ে কাশ্মীর ইস্যুতে কড়া বার্তাও দেওয়া হয়েছে।