বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
ব্রিটেনে আতিথেয়তা এবং রেস্তরাঁ শিল্পের অনেকটাই নির্ভর করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে আসা কর্মীদের উপর। ব্রেক্সিট কার্যকর হলে কর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী ও মশলাপাতি আনার উপরেও তার প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। তবে, বিষয়টিতে সত্যব্রতর দৃষ্টিভঙ্গি কিন্তু একেবারেই ভিন্ন। বর্তমান-এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি জানালেন, ব্রিটেনের ভারতীয় ফুড মার্কেট সাপ্লাই চেন কোনওদিনই ইইউ-র উপর নির্ভরশীল ছিল না। বরং ভারত এবং আমেরিকা থেকেই বেশিরভাগ খাদ্যসামগ্রী ব্রিটেনের ভারতীয় রেস্তরাঁগুলিতে সরবরাহ করা হয়। তাই এ নিয়ে তিনি এতটুকু ভাবিত নন।
সত্যব্রতর বেড়ে ওঠা কলকাতাতেই। বাবা ওড়িশার মানুষ হলেও মা পুরোপুরি বাঙালি। নাগাড়ে বাংলা লিখতে এবং বলতে পারেন সত্যব্রত। কলকাতার আইটিসি সোনার বাংলা সহ ভারতের একাধিক বড় হোটেলে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ব্রিটেনে এসে তিনি লন্ডনের ট্যামারিন্ড রেস্তরাঁয় যোগ দেন। সেখান থেকে মেফেয়ারের জিমখানা এবং জামাভার রেস্তরাঁ ঘুরে অবশেষে ‘চক্র’-তে থিতু হয়েছেন। জানালেন, আসন্ন গ্রীষ্মে রকমারি বাঙালি পদের সম্ভার নিয়ে আসছে ‘চক্র’। তাঁর কথায়, ‘আমরা খাবার তৈরিতে স্থানীয় তাজা সামগ্রীই ব্যবহার করি। যাতে ন্যূনতম দামে গ্রাহকদের উচ্চমানের খাবার দিতে পারি আমরা।’
ব্রিটেনে কর্মসংস্থানের নিরিখে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আতিথেয়তা শিল্প। প্রায় ২৯ লক্ষ মানুষ (মোট কর্মরত জনসংখ্যার ৭ শতাংশ) এই ক্ষেত্রে কাজ করেন। ব্রেক্সিট নিয়ে অনিশ্চয়তার জেরে বর্তমানে এই শিল্পে সিঁদুরে মেঘ দেখা দিয়েছে। কলকাতার সঙ্গে নাড়ির যোগ রয়েছে ‘চক্র’-র সিইও অর্জুন ভার্মারও। তাঁর মতে, ব্রেক্সিট কার্যকর হলে কর্মী নিয়ে সঙ্কট দেখা দেবেই। তিনি বলেন, ‘জেমি অলিভারের মতো বড় রেস্তরাঁগুলিও পর্যাপ্ত শেফের অভাবে ভুগছে। চলতি বছরেই ব্যবসা বাড়াচ্ছি আমরা। লন্ডনের আরও তিনটি জায়গায় রেস্তরাঁ খোলার ইচ্ছে রয়েছে। সেখানে আমাদের পর্যাপ্ত কর্মীর অভাব হবে। যোগ্য লোকের বদলে অন্যদের শিখিয়ে-পড়িয়ে কাজ করাতে হবে।’ বর্তমানে চক্র-র হেঁশেলে ইতালীয়, পোলিশ এবং লেবানিজ খাবারের জন্য আলাদা আলাদা শেফ রয়েছে। বাকি দু’টি রেস্তরাঁয় কাজ চালানোর জন্য তাঁদেরকেই আপাতত ভারতীয় পদ রান্নার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আমিষ পদের সঙ্গে রকমারি নিরামিষ পদও রয়েছে ‘চক্র’র মেনুতে। সামনেই ভ্যালেন্টাইনস ডে। ওইদিন বিশেষ মেনু তৈরিতেই এখন মজে রয়েছে ‘চক্র’র রান্নাঘর।