বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
ব্রিটেনে বসবাসকারী কাশ্মীরি পণ্ডিত এবং হিন্দুরা দাবি করছেন, এই ধরনের র্যালি তাঁদের ঘরে ফেরানোর জন্য নেওয়া পদক্ষেপগুলির ক্ষেত্রে খুবই বিপজ্জনক। যৌথ বিবৃতি জারি করে সংগঠনগুলির তরফে জানানো হয়েছে, ‘এইধরনের ভুয়ো র্যালি নিয়ে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। তাই আপনাদের যতটুকু ক্ষমতা রয়েছে, তা ব্যবহার করে এই র্যালি আটকাতে অনুরোধ করছি আমরা। আমাদের বিশ্বাস, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কয়েকজন এমপিকে ভুল পথে চালিত করা হয়েছে। তাই তাঁরা এই র্যালিকে সমর্থন করছেন।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর সম্পর্কে ওই এমপিদের সামনে আমরা কিছু তথ্য তুলে ধরতে চাই। এই তথ্য আন্তর্জাতিক স্তরেও মান্যতা পেয়েছে। যেমন, জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশে প্রত্যক্ষ মদত দেয় পাকিস্তান। সীমান্তে পাক সেনা গুলি চালিয়ে জঙ্গিদের কাশ্মীরে ঢোকার রাস্তা তৈরি করে দেয়। পাকিস্তানের এই গুলিচালনার জন্যই সীমান্তে বারবার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘিত হয়। তাই এইধরনের জেহাদি এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে কোনওভাবেই উৎসাহ দেওয়া উচিত নয়।
বর্তমান-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে যৌথ মঞ্চের তরফে কৃষ্ণ ভান বলেন, ‘আমরা আগামী মার্চে একটা পাল্টা র্যালি বের করার পরিকল্পনা করছি। কোন মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলছে পাকিস্তানিরা? কাশ্মীরি পণ্ডিতরাই সর্বস্বান্ত হয়ে কাশ্মীর এবং নিজেদের ভিটে-মাটি ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভারতীয় সংবিধান মেনেই জম্মু ও কাশ্মীরে যাবতীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। গত কয়েক দশক ধরে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি কার্যকলাপের অন্যতম টার্গেট হল জম্মু-কাশ্মীর। কাশ্মীরি হিন্দুদের উপর অত্যাচারের জন্য দায়ী জঙ্গিরাই। সারা বিশ্ব সেটা দেখেছে। জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অংশ ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। তাই আমরা এই ভুয়ো স্বাধীন কাশ্মীর র্যালির সঙ্গে কখনওই সহমত হব না।’
প্রতিবছর ৫ ফেব্রুয়ারি দিনটি আজাদ কাশ্মীর, পাকিস্তান এবং ব্রিটেনে এই র্যালি বের করে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলি। সেই রযাত লিকে সমর্থন জানান লর্ড নাজির আহমেদের মতো ব্রিটিশ নেতাও। গত বছর জুলাই মাসে বার্মিংহাম শহরে প্রায় শ দু’য়েক বিক্ষোভকারী স্বাধীন কাশ্মীরের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। সেবার রীতিমতো প্ল্যাকার্ড দিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে কাশ্মীর জুড়ে মানবাধিকারি লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছিল। র্যালিটির মূল উদ্যোক্তা ছিল জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন কাউন্সিল।