আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
নিট কেলেঙ্কারি নিয়ে কোণঠাসা মোদি সরকার শেষপর্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের কথা ঘোষণা করেছিল। এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে তা তৈরি করা হয়েছে। সাত সদস্যের সেই কমিটির চেয়ারম্যান প্রাক্তন ইসরো চেয়ারম্যান কে রাধাকৃষ্ণণ। দু’মাসের মধ্যে তাদের পরীক্ষা প্রক্রিয়া নিয়ে রিপোর্ট এবং সুপারিশ জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। যে যে বিষয়গুলি তাঁরা খতিয়ে দেখবেন, সেগুলির মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য—পরীক্ষা ব্যবস্থার প্রস্তুতি থেকে ফলপ্রকাশ পর্যন্ত গোটা কাঠামোকে খতিয়ে দেখা। এবং মাঝপথে কীভাবে তথ্য ফাঁস হওয়া সম্ভব এবং তা রোখার ব্যবস্থা চিহ্নিত করা। এনটিএ-র বর্তমান কাঠামোয় কার কী ভূমিকা, তা বিস্তারিত সমীক্ষা করে দেখবে এই কমিটি। খতিয়ে দেখা হবে প্রশ্নপত্র তৈরির পদ্ধতিও। ডেটা সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কী প্রোটোকল ব্যবহার করা হয় এখন? তারপরও তথ্য ফাঁস হওয়ার কী কী সম্ভাবনা থেকে গিয়েছে? এই দুই প্রশ্নের উত্তরও খুঁজবেন কমিটি সদস্যরা। কোথাও ত্রুটি অথবা অনিয়ম চিহ্নিত হওয়ার পর কেউ যদি নালিশ জানায়, তার ভিত্তিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? কিংবা নালিশ জানানোর নয়া কোনও পদ্ধতির প্রয়োজন রয়েছে কি না, এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আগস্ট মাসের মধ্যেই রিপোর্ট ও সুপারিশ দিতে হবে।
কিন্তু নিট দুর্নীতির আঁতুরঘর কোথায়? কখনও জানা যাচ্ছে বিহার। কখনও গুজরাত, হরিয়ানার দিকে আঙুল। উত্তরপ্রদেশ এবং দিল্লিও যে দুর্নীতির করিডর! জেরায় অভিযুক্তরা জানাচ্ছে বিস্ফোরক সব তথ্য। প্রশ্নপত্র ফাঁস যোগীরাজ্যের স্বাভাবিক প্রবণতা। সেই যোগী সরকারও চাকরি ও কোর্সে ভর্তির পরীক্ষা গ্রহণ করা এজেন্সিগুলিকে ভাগ করে দিয়েছে। একটিই সংস্থা যাতে অনেক পরীক্ষা না নেয়। কিন্তু এরপরেও প্রশ্ন একটাই, এত দেরি কেন?
‘এনডিএ সরকার’ ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করলেও সন্দেহ ও ব্যর্থতার দায় থেকে রেহাই পাচ্ছে না দু’বারের ‘মোদি সরকার’। এবার না হয় প্রশ্নপত্র ফাঁস, ৩০ লক্ষ টাকায় ডাক্তারির কোর্সে ভর্তির চাবিকাঠি ক্রয়ের বিষয়টি ধরা পড়েছে। কিন্তু কতদিন ধরে এভাবে চলেছে পরীক্ষা-দুর্নীতি? পিছনের দরজা দিয়ে পাশ করা অসংখ্য ‘ডাক্তার’ কি সরকারি রেজিস্ট্রেশন নিয়ে প্র্যাকটিস চালিয়ে যাচ্ছে? অমৃতকালে কী শুরু হয়েছে? জীবন নিয়ে খেলা?