যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
বিবাহবার্ষিকীর দিনে স্বামীর সঙ্গে বিশালগড় থেকে এসেছিলেন সুস্মিতা মজুমদার। বিফল মনোরথে ফিরে যাওয়ার সময় তা নিয়ে ক্ষোভ জানাতে ছাড়লেন না সুস্মিতাদেবী—‘আমাদের বিশেষ দিনে ঘুরতে এসে হতাশ হলাম!’ তাঁদের মতো বহু পর্যটকই প্রাসাদটি দেখতে এসে নিরাশ হয়ে ফিরছেন। রুদ্রসাগরে চার-পাঁচ জন দাঁড়টানা নৌকা চালান। মোটরবোট পরিচালনা করেন প্রায় ৩০ জন। প্রত্যেকের কাজই প্রায় একমাস ধরে কাজ বন্ধ। ওই চত্বরে ফুচকা, ঝালমুড়ি, পাপড়, শশা ইত্যাদি বিক্রি করে সংসার চালান মেলাঘরের বাসিন্দা টিটন সরকার। তাঁর কথায়, কচুরিপানার কারণে পর্যটকরা আসছেন না। তাই দোকান খুললেও বিক্রি-বাট্টা একেবারেই বন্ধ।
লেকটি দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে ‘রুদ্রসাগর উদ্বাস্তু সমবায় সমিতি’ এবং পর্যটন দপ্তর। এক নৌকা চালক জানিয়েছেন, সমবায় কচুরিপানা পরিষ্কারের উদ্যোগ নিলেও তা যথেষ্ট নয়। সমিতির সম্পাদক পরেমশ্বর দাস অবশ্য জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি পর্যটন দপ্তরকে জানানো হয়েছে। সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার এবং সমিতি উভয়ই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আগামী ১৮ তারিখের মধ্যে নীরমহলের প্রবেশপথটি নৌকা বা মোটরবোট চলাচলের উপযোগী হয়ে উঠবে।