উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি ও কলকাতা: পাঞ্জাব থেকে প্রতিবাদের ঢেউ এসে পৌঁছল রাজধানী দিল্লিতে। কেন্দ্রের তিন কৃষি ও কৃষক সংক্রান্ত আইনের বিরুদ্ধে আগেই সরব হয়েছে কংগ্রেস শাসিত এই কৃষিপ্রধান রাজ্য। একইসঙ্গে রাজ্য বিধানসভায় সর্বসম্মতভাবে পাশ করা হয়েছে বিল। এর মাধ্যমেই কেন্দ্রের কৃষি আইন লাগু রুখতে চায় পাঞ্জাব। যদিও সেই বিলে এখনও রাজ্যপাল সই করেননি। তাই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কৃষি আইনের বিরোধিতায় মোদি সরকারকে চাপে রাখতে চেয়েছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। কিন্তু রাষ্ট্রপতির কাছেও সাক্ষাতের সময় মেলেনি। তাই প্রতিবাদ জানাতে বুধবার দিল্লির যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেসের এমপি, বিধায়করা। ধর্নায় অংশ নেওয়ার আগে রাজঘাটে গান্ধী সমাধিতে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান অমরিন্দর সিং। একইসঙ্গে কেজরিওয়াল সরকারের উপর চাপ তৈরি করেন, যাতে তারা এই বিক্ষোভে অংশ নেন, এবং একই ধরনের বিল আনেন।
পাঞ্জাবের কংগ্রেস নেতৃত্ব যেমন দিল্লিতে কৃষি আইনের বিরোধিতায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে চাপে ফেলতে চাইছে, একইভাবে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসও কলকাতায় আগামীকাল ৬ নভেম্বর একইরকম কর্মসূচি নিয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস জানিয়েছে, কেন্দ্রের কৃষি আইনের প্রতিবাদে ওইদিন দুপুরে ট্রাক্টর যাত্রা হবে। এআইসিসির পরামর্শ মতোই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল থেকে মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তি পর্যন্ত ওই প্রতীকী প্রতিবাদে নেতৃত্ব দেবেন। কংগ্রেস সভানেত্রীর দলকে নির্দেশ, দেশজুড়ে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জারি রাখতে হবে।
কৃষি আইনের বিরোধিতার পাশাপাশি আলু, পেঁয়াজ, ভোজ্য তেলের মাত্রাছাড়া মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও প্রতিবাদে সরব হল কংগ্রেস। এআইসিসি মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাতে বলেন, আলু, পেঁয়াজ, টম্যাটোর মতো সব্জির দাম তো আকাশছোঁয়া, তার সঙ্গে যোগ হয়েছে ভোজ্য তেল। উৎসবের মরশুমে তেলের দাম যেভাবে বেড়েছে, তাতে গৃহস্থ নাজেহাল। তিনি বলেন, এক বছর আগেও সরষের তেল ছিল ৮০ টাকা কিলো। এখন হয়েছে ১২০ টাকা কিলো। সূর্যমুখী তেলের দাম ছিল ৭৭ টাকা প্রতি কিলো। হয়েছে ১১০ টাকা। বাদাম তেল যেখানে ৯৯ টাকায় মিলত, তা হয়েছে ১৩৫ টাকা। মোদি সরকারের দাম নিয়ন্ত্রণ করার কোনও পরিকল্পনা না থাকাতেই সাধারণ মানুষকে নাকাল হতে হচ্ছে বলেই দাবি করেছে কংগ্রেস। যদিও খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রক জানিয়েছে, দাম নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।