অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা, বাহন ক্রয়ের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় সংশয় ... বিশদ
মন্ত্রক সূত্রের খবর, করোনা সঙ্কট খানিকটা কমলেই এই সুপারিশ কার্যকর করার ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হবে। তবে পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলিকে ইতিমধ্যেই মৌখিকভাবে প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। মোটামুটি এবছরের শেষ দিকে এই নয়া ব্যবস্থা কার্যকর হবে। শুধু মোবাইলই নয়, আগামীদিনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী নেটিজেনদের জন্য পৃথক ডঙ্গলের ক্ষেত্রেও আর এখনকার মতো ১০ ডিজিটের নম্বর দেওয়া হবে না। সেক্ষেত্রে ১৩ সংখ্যার নম্বর বরাদ্দ করার জন্য সুপারিশ করেছে ট্রাই। কথা বলার সাধারণ মোবাইল নম্বরের স্টক থেকেই ডঙ্গলের কানেকশন দেওয়ার প্রথা চালু থাকায় আগামীদিনে এই আলাদা ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
ট্রাইয়ের তরফে বলা হয়েছে, দেশে টেলি-ঘনত্ব বর্তমানে ৮৭.৪৫ শতাংশ। অর্থাৎ, মোট জনসংখ্যার ৮৭.৪৫ শতাংশ নাগরিক টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত। এ বছরের জানুয়ারি মাসে তৈরি এই হিসেব অনুযায়ী দেশে এখন সব মিলিয়ে ১১৭ কোটি ৭২ লক্ষ টেলিফোন কানেকশন রয়েছে। গত কয়েক বছরে প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং নানাবিধ পরিষেবার হাত ধরে মোবাইল কানেকশন নেওয়ার প্রবণতা হু হু করে বেড়েছে। ফলে মোবাইল ফোনের নম্বর নিয়ে ১৭ বছর আগে তৈরি পরিকল্পনাকে নতুন করে সাজানোর সময় এসেছে। সে কথা মাথায় রেখেই আগামীদিনে পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলি যাতে সমস্যায় না পড়ে , তারজন্য দেশজুড়ে সব মোবাইল নম্বরকে ১১ ডিজিটে বদলে ফেলার সুপারিশ করা হয়েছে। এজন্য বর্তমানে গ্রাহকদের বরাদ্দ করা ১০ ডিজিটের নম্বরের আগে শূন্য (০) বা অন্য কোনও সংখ্যা বসানো হতে পারে। ১১ সংখ্যার হলে কেবল ‘৯’ দিয়ে শুরু হওয়া মোবাইল কানেকশনের ভাঁড়ারেই মোট ১ হাজার কোটি নম্বর তৈরি করা সম্ভব হবে। যা সুদূর ভবিষ্যতে অনেকটাই নিশ্চিত করবে পরিষেবাদানকারী সংস্থাগুলিকে।