কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
তবে সরকার গড়ার দৌড়ে এই মুহূর্তে এগিয়ে রয়েছে শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেসের নয়া জোট। গতকালই কংগ্রেস, এনসিপি এবং শিবসেনার বৈঠকে অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি নিয়ে ঐকমত্য এসেছে। প্রধানত কৃষি সমস্যাকে ওই কর্মসূচির ভরকেন্দ্র রাখা হয়েছে। শিবসেনা ৫৬, এনসিপি ৫৪ এবং কংগ্রেস ৪৪টি আসন পেয়েছে। এই আসন প্রাপ্তির সংখ্যার নিরিখেই মন্ত্রক বন্টন করা হবে। অর্থাৎ শিবসেনা পাবে মুখ্যমন্ত্রী সহ বেশি মন্ত্রক। তার পর পাবে এনসিপি এবং কংগ্রেস পাবে সব থেকে কম মন্ত্রক। আজ এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার বলেছেন, অনেকেই মনে করছে এই জোট সরকার টিকবে না। কিন্তু এই সরকার গঠন করা হচ্ছে কয়েকদিনের মধ্যেই এবং এই সরকার ৫ বছর চলবে। কোনও অন্তর্বর্তী নির্বাচনের প্রশ্নই নেই।
মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি এই নয়া জোটকে সরকার গঠনের জন্য আহ্বান করলে বিজেপি রাজনৈতিক কৌশল সম্পূর্ণ বদলে ফেলবে। মহারাষ্ট্রে হিন্দুত্ব ইস্যু বেশি করে প্রচারে আনা হবে। কারণ, সেক্ষেত্রে শিবসেনাকে অস্বস্তিতে ফেলা হবে। কংগ্রেস এবং এনসিপির সমর্থনে চলা শিবসেনা হিন্দুত্ব নিয়ে ব্যাকফুটে থাকতে বাধ্য হবে। অন্য দিকে বিজেপির কাছে এই সরকার গঠনের বার্তা অবশ্যই সামগ্রিকভাবে সুখবর নয়। কারণ, আগামী ৩০ নভেম্বর ঝাড়খণ্ডে ভোট। আবার একটি বড়সড় রাজ্য থেকে বিজেপি ক্ষমতাচ্যুত হল এই বার্তা ঝাড়খণ্ডের ভোটেও খারাপ প্রভাব ফেলবে। আর হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রের ভোটের ফলপ্রকাশের পর এখন বিজেপিও ঝাড়খণ্ড নিয়ে অতি আত্মবিশ্বাসী নয়। কারণ হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্র নিয়ে যতটা নিশ্চিত ছিল বিজেপি, ফলাফল সেই প্রত্যাশাকে এতটাই ধাক্কা দিয়েছে যে ঝাড়খণ্ড নিয়ে এখন বিজেপি নেতৃত্ব অত্যন্ত সতর্ক। এক বছরের মধ্যেই বিজেপির দখলে থাকা চারটি রাজ্য হাতছাড়া। হরিয়ানায় ক্ষমতা ধরে রাখা সম্ভব হলেও সে রাজ্যে এতদিন ছিল বিজেপির একক সরকার। আর সেখানে এখন দুষ্যন্ত চৌতালার দলের উপর নির্ভরশীল বিজেপির সরকার।