কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি এই সংক্রান্ত এক মামলায় আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, ইপিএফ বকেয়া মিটিয়ে দিলেই অভিযুক্ত সংস্থাকে অভিযোগের আওতার বাইরে রাখার কোনও অর্থ নেই। বরং তাকে অভিযুক্ত হিসেবেই বিবেচনা করতে হবে। ইপিএফও সূত্রের খবর, উল্লিখিত মামলার পরেই কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠন এই সংক্রান্ত নিয়মে আরও বেশি কড়া হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অধিকাংশ সময়েই সংস্থা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এই সংক্রান্ত অভিযোগ উঠলে চাপে পড়ে তারা শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া ইপিএফ কন্ট্রিবিউশন মিটিয়ে দেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এরপর তাদের উপর থেকে অভিযোগ তুলেও নেওয়া হয়। কিন্তু কয়েকবছর পর ওই সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ ওঠে। ইপিএফও’র শীর্ষ আধিকারিকেরা মনে করছেন, এক্ষেত্রে বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার পরেও যদি সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে দোষী বলে ধরে নিয়ে তদন্ত চালানো হয়, তাহলে পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
বর্তমানে ন্যূনতম ২০ জন কর্মী থাকা সংস্থাগুলি ইপিএফও’র আওতায় থাকে। কর্মীর মধ্যে যাঁদের মাসিক বেতন সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা, তাঁরা বাধ্যতামূলকভাবে এই সামাজিক সুরক্ষা পরিষেবা ইপিএফের আওতায় থাকেন। প্রতি মাসে গ্রাহকেরা মূল বেতন এবং মহার্ঘ ভাতার ১২ শতাংশ অর্থ জমা করেন ইপিএফ কন্ট্রিবিউশন হিসেবে। আর কর্মীদের হয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থা-প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে জমা করতে হয় আরও ১২ শতাংশ কন্ট্রিবিউশন। সময়ে এই প্রদেয় অর্থ জমা করা নিয়েই একাধিক অভিযোগ ওঠে। কর্মীরা কন্ট্রিবিউশনের অর্থ জমা করে দিলেও মালিকপক্ষ তা ইপিএফ অ্যাকাউন্টে দেয়নি, এমন অভিযোগও ওঠে। নয়া নিয়মে এই অভিযোগ কমবে বলেই মনে করছে ইপিএফও। সরকারি সূত্রের খবর, গত দুবছরে ইপিএফও’র কাছে এই সংক্রান্ত প্রায় আড়াই হাজার অভিযোগ উঠেছে। অথচ তার মধ্যে প্রায় দেড় হাজার অভিযোগের কোনওরকম সুরাহা করা সম্ভবই হয়নি। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতেই এবারে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র।