নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
স্রেফ করোনার ভ্যাকসিনের জন্য ঘটা করে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেটে। অথচ অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকা দেশের মাত্র ২৭ কোটি নাগরিককেও বিনামূল্যে টিকা দিতে পারছে না নরেন্দ্র মোদি সরকার। বাংলায় সে পথে হাঁটতে রাজি নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো এক পাতার চিঠিতে তা তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। লিখেছেন, রাজ্যে এবার ভোট। সাধারণ মানুষ ভোট দিতে যাবেন। করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা রুখতে তাঁদের প্রত্যেককে টিকা দেওয়া প্রয়োজন। সেই মতো রাজ্য সরকার সবাইকে টিকা দেবে বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবং তা বিনামূল্যে। আপনি কেবল ডোজ কেনার ব্যবস্থা করে দিন।
রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে করোনা টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আদতে ভোটের আগে মোদি-শাহদের ‘গোল’ দিলেন মমতা। কারণ, পর্যাপ্ত টিকা না মিললে কেন্দ্রের দিকে আঙুল তোলার সুযোগ থাকবে। আবার মিললে রাজ্যবাসীকে ‘ফ্রি’ টিকা দেওয়ার প্রচারে অ্যাডভান্টেজ পাবে তৃণমূল।
অন্যদিকে, এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এবার সাধারণ নাগরিকদের টিকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর। তিনি বলেন, সরকারি প্রায় ১০ হাজার প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে এই টিকা মিলবে। দেশে প্রায় ১০ কোটি ষাটোর্ধ্ব নাগরিক এতে উপকৃত হবেন। টিকা পেতে দু-একদিনের মধ্যেই খুলে যাবে ‘কো-উইন’ পোর্টাল। যদিও বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের জন্য টিকার দাম এখনও নির্দিষ্ট হয়নি। প্রস্তুতকারক কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করে শীঘ্রই তা স্থির করবে সরকার। এছাড়া টিকাকরণের জন্য পৃথক খরচ ধার্য করতে পারে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যকর্মী-চিকিৎসকদের টিকাকরণ শেষ হচ্ছে বাংলায়। তবে ১ মার্চ থেকে ষাটোর্ধ্বদের টিকাকরণ শুরু করা কঠিন, মত স্বাস্থ্যকর্তাদের। কারণ, সোমবার থেকে বাংলার প্রায় সাড়ে চার লক্ষ ভোটকর্মীর টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। মাত্র তিন দিনের মধ্যে যা সম্পূর্ণ হওয়া অসম্ভব। এছাড়া প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের টিকাকরণও চলবে ৬ মার্চ পর্যন্ত।