উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
বুধবার দুপুরে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। বাবা-মায়ের সঙ্গে ঘর গোছানোর কাজে হাত লাগিয়েছে আট বছরের নম্রতা। এমনকী তাঁরা সাজ-পোশাকও চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। নবীন পরবেন পাঞ্জাবি। সুচিত্রাদেবী তাঁতের শাড়ি। আর নম্রতা চুড়িদার।
অমিত শাহকে তাঁরা খাওয়াবেন হাতে বানানো আটার রুটির সঙ্গে ছোলার ডাল। তারপরই থাকবে ভাত, শুক্তো, মুগের ডাল, বেগুন ভাজা, জলপাইয়ের চাটনি, নলেন গুড় সহযোগে চালের পায়েস।
মেঝেতে শতরঞ্চি পেতে অমিত শাহকে বসানোর ব্যবস্থা হবে। এ দিন সকালে নবীন, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। প্রত্যেকেরই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। বৃহস্পতিবার তাঁরা বাড়িতেই থাকবেন। যেহেতু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসছেন, ফলে সুরক্ষার স্বার্থে বুধবার বিকেল থেকেই বাড়িতে বাইরের কাউকে ঢুকতে দিচ্ছেন না নবীনবাবু। নিরাপত্তা আধিকারিকরা একাধিকবার বাড়ি পরীক্ষা করে গিয়েছেন।
শিমুলতলায় রাস্তার উপর নবীনবাবুর দোতলা বাড়ি। ফার্নিচারের ব্যবসা রয়েছে তাঁর। বাড়িতে প্লাস্টার হলেও রংয়ের কাজ এখনও শেষ হয়নি। নবীনবাবু বললেন, ‘আমরা মতুয়া সম্প্রদায়ভুক্ত। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমার বাড়িতে আসছেন এই আনন্দটা বলে বোঝাতে পারব না। কোনওদিন হয়তো স্বপ্ন দেখেছিলাম রাজনৈতিক জগতের শীর্ষ কোনও ব্যক্তি আমার বাড়িতে পা দেবেন, সেটাই আজ বাস্তবে রূপ পাচ্ছে।’ নবীনবাবুর বাড়ির চৌহদ্দিজুড়ে বিজেপির পতাকায় মুড়ে ফেলা হয়েছে।
মধ্যাহ্নভোজের আগে অমিত শাহ যাবেন জ্যোতিনগর নিউ আদর্শপল্লির হরিচাঁদ গুরুচাঁদ মতুয়া মহাসংঘে। সেখানেও ব্যস্ততা তুঙ্গে। ফুল, মালা, আলোতে মন্দির সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। মতুয়াদের পরম্পরায় থাকা ডঙ্কা-নিশানের মাধ্যমে অমিত শাহকে বরণ করা হবে। ১৯৯৯ সালে স্থাপিত এই মন্দিরে হরিচাঁদ ঠাকুর ও শান্তি মাতাদেবীর মূর্তি রয়েছে। সেখানে পুজো দেবেন অমিত। মন্দিরের ভিতরে থাকবেন আট জন। বাইরে মতুয়া মহাসংঘের মহিলা সদস্যরা অভ্যর্থনা জানাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। মন্দিরের ভিতরে বসার জন্য কোনও চেয়ার রাখা হচ্ছে না। পাতা থাকবে গদি।
নিউটাউন বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত মন্দির সংলগ্ন এলাকায় প্রচুর সংখ্যক মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষজন বসবাস করেন। বিজেপি মতুয়া সম্প্রদায়কে কাছে টানতে চাইছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একটি দাবিপত্র তুলে দেবে মন্দির কমিটি। মন্দিরের সম্পাদক কেশব হালদার বলেন, পূর্ববঙ্গ থেকে আসা হিন্দু উদ্বাস্তু শরণার্থীদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব প্রদানের দাবি জানানো হবে। সেইসঙ্গে কেষ্টপুর থেকে যাত্রাগাছি এমএআর সংযোগস্থল পর্যন্ত বাগজোলা খাল ধারের রাস্তার নামকরণ করা হোক গুরুচাঁদ ঠাকুর সরণী। পুজোর পর অমিত বিশেষ কোনও বার্তা দিতে পারেন, এমনটাই মনে করছেন মতুয়া ভক্তরা।