সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
কেন এই ধরনের পরিকল্পনা? আসলে এর পিছনে রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু পরিসংখ্যান। শ্রমমন্ত্রক ও পিএফ দপ্তরের আধিকারিকদের মতে, ইপিএফের আওতাভুক্ত সদস্যদের একটা বড় অংশ ফি বছর তাদের সঞ্চিত রাশি থেকে চিকিৎসা খরচ বাবদ ঋণ নেয়। ছেলেমেয়ের বিয়ে, বাড়ি মেরামতের মতো খাতের তুলনায় চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে টাকা তোলার প্রবণতা অনেক বেশি। এই পরিসংখ্যান যাচাইয়ের পরই আধিকারিকরা পিএফ সদস্য ও পেনশনভোগীদের স্বাস্থ্যবিমা দেওয়ার কথা চিন্তা করেন।
সূত্রের খবর, এব্যাপারে প্রথমে আয়ুষ্মান ভারতের মতো কোনও বিমা প্রকল্পের কথা ভেবেছিলেন মন্ত্রকের অফিসাররা। কিন্তু চলতি বিধি মোতাবেক কেবলমাত্র বিপিএল তালিকাভুক্তরাই আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা পাওয়ার অধিকারী। তাই তাঁরা বাধ্য হয়ে নতুন প্রকল্পের সন্ধান চালাচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত বিপিএল তালিকায় থাকা ১০ কোটি পরিবার তথা ৫৩ কোটি গরিব মানুষ আয়ুষ্মান ভারতের আওতায় এসেছে। তালিকার বাইরে থাকা আরও অন্তত ৪৫ কোটি নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য একইরকম বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকার বিমা প্রকল্পের কথা বিবেচনা করছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বাজারচলতি বাণিজ্যিক বিমা প্রকল্পের অন্তত অর্ধেক প্রিমিয়াম মূল্যে একই সুবিধা দেওয়ার জন্য কিছু সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তাও অনেক দূর এগিয়েছে। নথিভুক্ত সদস্য ও পেনশনভোগীদের এই ধরনের প্রকল্পের আওতায় আনতে চাইছে পিএফ দপ্তরও। তাই তারা নিজেদের সর্বোচ্চ মহলের পাশাপাশি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সঙ্গেও কথাবার্তা শুরু করেছে। তবে বিমার বার্ষিক প্রিমিয়াম সদস্যরা পুরোটাই তাদের তহবিল থেকে মেটাবে, নাকি তার কোনও অংশ সরকার দেবে—সে ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। সরকারের এহেন উদ্যোগের বিষয়টি পুরোপুরি গোপন করেননি পিএফ দপ্তরের অন্যতম আঞ্চলিক অধিকর্তা নব্যেন্দু রাই। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘ঠিকই শুনেছেন। পিএফ সদস্য ও পেনশনভোগীদের আয়ুষ্মান ভারতের মতো স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্পে আনার বিষয়ে প্রস্তাব নিয়ে দিল্লিতে আলোচনা চলছে মাত্র। তবে এখন এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।’