সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
বুধবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে জেলার মোট ৬৯টি পুজোর উদ্বোধন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও নদীয়ার কয়েকটি পুজো উদ্বোধন হল তাঁর হাত ধরে। অনুষ্ঠান থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, যে সব পুজো কমিটি ১০ বছর ধরে পুজো করছে, তারা প্রত্যেকে যেন সরকারি অনুদান বাবদ ৫০ হাজার টাকা করে পায়। যাদের ১০ বছর পূর্ণ হয়নি, তারাও আর্থিক সাহায্য পেতে পারে। এ ব্যাপারে পুলিসকে দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা। বলেছেন, ‘অনেক গরিব পুজো কমিটি রয়েছে। তারা এই করোনা সঙ্কটের মধ্যেও কষ্ট করে পুজোর আয়োজন করেছে। আমি পুলিসকে বলব, তাদেরও কিছুটা আর্থিক সাহায্য করতে।’ তবে সেই সাহায্যের অঙ্ক কত, তা জানাননি মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, সাহায্যের ব্যাপারে ডিজির সঙ্গে যোগাযোগ করুক পুলিস। পাশাপাশি মহিলাদের উদ্যোগে হওয়া পুজোগুলির পাশে দাঁড়ানোর ব্যাপারেও পুলিশেকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এদিন নবান্ন সভাঘর সাজানো হয়েছিল পুজোর আবহেই। ভার্চুয়াল উদ্বোধনে বেজেছে ঢাক, শঙ্খ। চলে উলুধ্বনি পর্বও। গায়ক ও মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনকে সঙ্গে নিয়ে আগমনীও গেয়েছেন মমতা। বারবার প্রার্থনা জানিয়েছেন করোনামুক্তির। তাঁর কথায়, আট মাস হয়ে গিয়েছে। আর পারা যাচ্ছে না। বহু মানুষ এখনও ঘরে ফিরতে পারেনি। এই সঙ্কট কেটে যাক খুব তাড়াতাড়ি।
নবান্ন সভাঘরের অনুষ্ঠান শেষে মুখ্যমন্ত্রী এদিন সন্ধ্যায় নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘ ও আহিরিটোলা সর্বজনীনের মণ্ডপে হাজির হন। দু’টি পুজোর উদ্বোধন হয় তাঁর হাতে। আজ, বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর।
নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের পুজো উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ছবি: ভাস্কর মুখোপাধ্যায়