জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
এদিন সকাল থেকে তারকেশ্বর রেলগেট এলাকার ব্যবসায়ীদের সচেতন করার বার্তা দেওয়া শুরু হয়। অভিযোগ, বাজার, মন্দির এলাকা এবং স্টেশন থেকে মন্দির যাওয়ার রাস্তা দখল করে চলছে ব্যবসা। নিত্য যানজট হচ্ছে। সমস্যায় পড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে পুণ্যার্থীরা। আরও অভিযোগ, তারকেশ্বরে অস্থায়ী দোকানের থেকে বেশি সমস্যা তৈরি করছে কিছু স্থায়ী দোকান। তারকেশ্বর থানা থেকে ৫০ মিটার দূরে অ্যালুমিনিয়াম সামগ্রীর একটি বিশাল গোডাউন রয়েছে। সেখানে কারখানায় তৈরি হয় বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী। সারাদিন রাস্তার উপর ট্রলি ও লরি দাঁড় করিয়ে চলে মাল ওঠানো নামানোর কাজ। তার ফলে যানজট তৈরি হয়। অ্যালুমিনিয়াম দোকানের মালিক জগন্নাথ পোদ্দার বলেন, ‘পুলিস এসে মালপত্র রাস্তা থেকে সরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছে। তবে আমাদের এখানে লরি দাঁড়িয়ে থাকার জন্য তেমন কোনও সমস্যা হয় না।’ এই দোকানটি ছাড়াও কিছু স্থায়ী ব্যবসায়ী নিজের দোকানের বাইরে প্রায় চার থেকে পাঁচ ফুট রাস্তা দখল করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। অতিরিক্ত পুলিস সুপার বলেন, ‘তারকেশ্বর এলাকায় আগেও এই ধরনের ঘোষণা করা হয়েছে। আজকেও সকলকে জানান হলো। সরকারি জায়গা দখল করে ব্যবসা করলে যাতায়াতের সমস্যা হলে তা বরদাস্ত করা হবে না। তারকেশ্বর মেলায় লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী আসেন। মেলার আগে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ হিসেবে এটা নেওয়া হলো। ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এদিন পুরসভাও তারকেশ্বর বাস স্ট্যান্ডে এলাকায় অভিযান চালায়। স্ট্যান্ডের ফুটপাত দখল করে ব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ। ফুটপাতের মধ্যেই জ্বলন্ত গ্যাসে তেল গরম হচ্ছে। মানুষের বক্তব্য, যে কোনও মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। পুরপ্রধান উত্তম কুন্ডু বলেন, ‘মঙ্গলবার থেকে মাইকিং করে সকলকে সরকারি জায়গা থেকে দোকান সরিয়ে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। পুরসভা অভিযান চালিয়ে যাবে। নির্দেশ না মানলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’