নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: মঙ্গলবারের মত বুধবারও হাওড়া শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে জবরদখলকারীদের হটাতে সক্রিয় হল পুলিস। কোথাও বেআইনি পার্কিং, কোথাও ফুটপাতে গজিয়ে ওঠা অস্থায়ী দোকান সরাতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যস্ত থাকতে দেখা গেল তাদের। বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত পাওয়া হিসেব অনুযায়ী, হাওড়া সিটি পুলিসের এলাকায় ৩৭৫টি জায়গায় বেআইনি পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আলমপুর, পাকুড়িয়া, ড্রেনেজ ক্যানাল রোড, ইছাপুর মোড়, কদমতলা, চ্যাটার্জিপাড়া, লোয়ার ফোরশোর রোড, শালিমার, জি টি রোড, কিংস রোড সহ বহু এলাকায় বেআইনি পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় পুলিস। শহরের বহু জায়গায় ফুটপাতের পাশাপাশি রাস্তার একাংশও (ব্ল্যাক টপ) দখল হয়ে গিয়েছিল। অরবিন্দ রোড, বাঁধাঘাট, চুনাভাটি সহ আরও কয়েকটি এলাকায় এই ধরনের দখলদার সরিয়ে দিয়েছে হাওড়া পুলিস। পিলখানা, হাওড়া ময়দান এলাকাতেও ফুটপাত এবং রাস্তার দখল হয়ে যাওয়া অংশ ফাঁকা করার আর্জি জানিয়েছে সাধারণ মানুষ। হাওড়ার পুলিস কমিশনার প্রবীণকুমার ত্রিপাঠি জানিয়েছেন, অবৈধ নির্মাণ ও অবৈধ দখলদারি হটাতে তিনি জেলাশাসক এবং পুর কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তাঁদের তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, পুরসভা বা প্রশাসন কোথাও অবৈধ নির্মাণ বা সরকারি জায়গায় গজিয়ে ওঠা অস্থায়ী দোকানপাট ভাঙার সিদ্ধান্ত নিলে পুলিস প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার পর হাওড়া শহরের ফুটপাত দখলমুক্ত হওয়ায় খুশি সাধারণ মানুষ। তাঁরা বলছেন, সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে ফুটপাত বানায় পথচারীদের জন্য। অথচ ফুটপাত তৈরি হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই সেগুলি দখল হয়ে যায়। পরপর গজিয়ে ওঠে দোকানপাট। হাওড়া শহরের বহু জায়গায় প্রভাবশালী রাজনৈতিক দাদারা ফুটপাত টাকার বিনিময় ‘বিক্রি’ও করেন বলে অভিযোগ শোনা যায় আকছার। মানুষকে বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমে হাঁটতে হয়। কোথাও কোথাও রাস্তার একাংশ দখল করেই চলছে বেচাকেনা। এসব কারণে যানবাহনের গতি যেমন শ্লথ হচ্ছে, তেমনই বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। স্থানীয় বাসিন্দারা চাইছেন, শিবপুর থেকে পিলখানা পর্যন্ত রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করে শহরের একটা সুস্থ ও সুন্দর চেহারা ফিরিয়ে দিক প্রশাসন। অধিকাংশ মানুষই প্রশাসনের এই তৎপরতাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।