আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী ছবি দেখিয়ে যে জায়গার কথা উল্লেখ করেছিলেন, সেই প্রাণীসম্পদ ভবনের উল্টোদিকের একটি সরকারি জমি দখল করে থাকা দোকানগুলি ভাঙার কাজ শুরু হয় মঙ্গলবার। প্রায় ২০টির মতো দোকান ভাঙা হয়েছে। এই অভিযান চলাকালীন অন্যান্য জবরদখলকারীরা অস্থায়ী ছাউনি খুলে নিজেদের মালপত্র গুটিয়ে অন্যত্র চলে যান। এদিন সকালে যৌথভাবে মাঠে নামে বিধাননগর পুরসভা ও পুলিস। প্রথমে প্রাণীসম্পদ ভবনের উল্টোদিকে কেবি ব্লকে যায় পুলিস। সেখানে ফুটপাতের উপর চা, মুদি, খাবারের দোকান সহ গোটা বিশেক বিভিন্ন দোকান ছিল। এক ঘণ্টার মধ্যে তাদের উঠে যেতে বলা হয়। তা শোনার পর দোকানদাররা মালপত্র বাইরে বের করতে শুরু করেন। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসে পুরসভার জেসিবি। তারপর জেসিবি ব্যবহার করে দোকান ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়। তখনও অনেকে দোকানের মালপত্র বের করতে পারেননি। আচমকা এই অভিযান শুরু হওয়ায় ভেঙে পড়েন দোকানদাররা। তাঁরা বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছি। এক ঘণ্টার নোটিস দিয়ে তুলে দেওয়া হল।’ অন্যদিকে পড়শি দোকানগুলি ভাঙা পড়তে শুরু হয়েছে দেখে কেবি ব্লকের উল্টোদিকের ফুটপাতের দোকানদাররা নিজেরাই মালপত্র বের করে নেন।
এদিন সল্টলেক সেক্টর ফাইভেও অভিযান চালানো হয়েছে। তবে সেখানে দোকান ভাঙা হয়নি। যে দোকানগুলি ফুটপাত থেকে এগিয়ে রাস্তা দখল করেছিল। তাদের দোকানের আয়তন কমিয়ে পিছনে সরে যেতে বলে পুলিস। এদিনের উচ্ছেদ দেখার পর অনেকের প্রশ্ন, কীভাবে চলত এই দোকানগুলি? সল্টলেকের এক অস্থায়ী দোকানদার বলেন, ‘কিছু নেতাকে বকসিস দিতে হয়। কেউ মাসে নেন। কেউ দৈনিক। এক বড় নেতা টাকা তুলতে একজন কর্মীও রেখেছেন। সে কর্মী চায়ের দোকানের কাছেও প্রতিদিন ১০০ টাকা করে নেন।’ সল্টলেকের বাসিন্দাদের প্রশ্ন, সল্টলেকজুড়ে ফুটপাতের উপর অসংখ্য জবরদখল করে থাকা দোকান রয়েছে। সব জায়গাতেই কি অভিযান হবে? বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, ‘যেখানে যেখানে জবরদখল রয়েছে। যাতায়াতে মানুষের অসুবিধা। সেখানে সেখানে অভিযান চলবে।’