আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
কী ঘটেছিল? শনিবার রাত তখন প্রায় ১১টা হবে। হন্তদন্ত হয়ে এক সুবেশ কিশোর এসেছিল ওষুধের দোকানে। দু’-চারটি ওষুধ নেওয়ার পরেই সে একটি ওষুধ ভুলে গিয়েছে বলে দাবি করে। দোকানিকে বলে, আপনার ফোনটা একটু দেবেন, একটা ওষুধের নাম ভুলে গিয়েছি। মা’কে ফোন করে জেনে নেব। আমার ফোনে চার্জ নেই। সরল বিশ্বাসে ব্যবসায়ী ফোন দিয়ে দেন। ওই কিশোর ফোন করে ওষুধের নাম জেনে দোকানিকে বলার পর তিনি ওষুধ বের করতে অন্যদিকে ফিরতেই ফোন নিয়ে গায়েব ওই কিশোর। প্যাকেট করা ওষুধ পড়ে রয়েছে তাঁর টেবিলে। এই ঘটনায় খানিকক্ষণের জন্য বিমূঢ় হয়ে যান ওষুধ বিক্রেতা সৈকত মুখোপাধ্যায়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, তিনি দোকানের ভিতর থেকে উঁকি দিয়ে ওই কিশোরকে খোঁজার চেষ্টা করছেন। তারপর বেরিয়েও আসেন। ততক্ষণে ওই ‘ক্রেতা’ এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। সৈকতবাবু বলেন, বয়স দেখে ছেলেটিকে কিশোর বলেই মনে হয়েছে। পরিচ্ছন্ন পোশাক। সে এসে বেশ কয়েকটি ওষুধের নাম বলেছিল। ফলে সন্দেহ হয়নি। মোবাইল ফোন নিয়ে গায়েব হয়ে যাওয়ার পর বুঝতে পারি, গোটাটাই ছলনা ছিল। বহু বছর ধরে ব্যবসা করছি, এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি। ওই ব্যবসায়ী উত্তরপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিস জানিয়েছে, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। পুলিসের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে যে কিশোরের ছবি ধরা পড়েছে, তার কোনও রেকর্ড পুলিসের কাছ নেই। ফলে আরও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
ঘটনার সময় আশপাশে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা বলেন, ওই কিশোরকে একাই দোকানে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল। তার এক সঙ্গী বাইক নিয়ে একটু দূরে অপেক্ষা করছিল। ওষুধের দোকান থেকে বেরিয়েই ওই কিশোর সেই বাইকে উঠলে বাইকটি দ্রুত এলাকা ছাড়ে। ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, একটি কেপমার গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। পুলিসের দাবি, এটি দু’জন বা তিনজনের কাজ, নাকি কোনও গ্যাংয়ের কাজ, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।