আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
কলকাতা শহরের পাশেই অবস্থান অভিজাত সল্টলেক উপনগরীর। বিধাননগর পুরসভার ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে চারটি সংযুক্ত এলাকা। সল্টলেকের মধ্যে রয়েছে ১৪টি ওয়ার্ড। এই ১৪টি ওয়ার্ড বিধাননগর বিধানসভার অন্তর্গত। গত লোকসভা নির্বাচনে সল্টলেকের ১০টি ওয়ার্ডেই হেরেছে তৃণমূল। এদিন নবান্নের সভাগৃহে বিধাননগরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুজিত বসু, বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী এবং চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সকলের সামনেই মুখ্যমন্ত্রী জবরদখল নিয়ে বলেন, ‘সল্টলেকে ইচ্ছে মতো সুজিত বসু লোক বসাচ্ছে। কম্পিটিশন করে। কেন বাইরের লোক বসবে? এআরডি অফিসের বিপরীতে যদি আপনাদের ছবি দেখাই তাহলে নিজেরাই লজ্জা পাবেন। এর জন্য কত দিতে হয়েছে? একটা ত্রিপল লাগাচ্ছে আর বসে পড়ছে। কেন? কেন? কেন? আমি জানতে চাই, কত টাকার বিনিময়ে, কারা নিয়েছে টাকা?’
এরপরই পুর পরিষেবার প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সল্টলেকের কাউন্সিলাররা কাজ করেন না। তাঁরা তো নির্বাচিত। কেন কাজ করেন না? রাস্তায় ঝাঁট দেয় না। এবার কী আমাকে রাস্তায় ঝাঁট দিতে বেরতে হবে? শুধু উপরের দিকে তাকালে হবে? নীচের দিকে তাকাতে হবে না? এলাকার লাইট দেখে না, রোড দেখে না, জল দেখে না, মানুষের সমস্যা দেখে না।’ সেই সঙ্গে রাজারহাটেও জবরদখল শুরু হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। বেআইনি নির্মাণে বিদ্যুৎসংযোগও পেয়ে যাচ্ছে তারা বলে আক্ষেপও করেন।
সল্টলেকের বাসিন্দারা এদিন বলেন, মুখ্যমন্ত্রী তো হাতে ছবি নিয়ে সল্টলেক জবরদখলের কথা বলেছেন। পাড়ার চুনোপুঁটি নেতা থেকে বড় নেতা, সবার মদতেই জবরদখল হচ্ছে। কোথাও প্রশাসনের লোকজনকেও বকশিস দেওয়া হচ্ছে। কয়েকজন কর্মী সংগঠনের নেতাও এর সঙ্গে যুক্ত। কোনও নেতা আবার মান্থলির বিনিময়ে অস্থায়ীভাবে লোকজন বসিয়ে দিচ্ছেন।
বৈঠক প্রসঙ্গে মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, ‘আমি কোনও মন্তব্য করব না। তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হোক। তাহলেই সত্য বেরিয়ে আসবে’। বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, ‘পুর পরিষেবা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন। মোল্লার ভেড়িতে এখনও আবর্জনা ফেলতে পারি না। ধাপায় পাঠাতে হয়। গাড়ির ঘাটতি রয়েছে। আমরা কাউন্সিলারদের সচেতন করব। মুখ্যমন্ত্রী যে যে দিকগুলি তুলে ধরেছেন, সেগুলি কীভাবে আরও ভালো করা যায় আমরা তার চেষ্টা করব।’