আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
এর হাত ধরে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে শুরু হয়েছে পানীয় জলের ব্যবসা। তার সঙ্গে যুক্ত পুরসভার কাউন্সিলারদের আত্মীয়রাই। সবমিলিয়ে বরানগরের পুর পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভের অন্ত নেই। এ সব কারণে সোমবার নবান্নের বৈঠক থেকে বরানগর পুরসভাকে হুঁশিয়ার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। রাজ্যের বেশ কয়েকটি পুরসভার মতো শহরবাসীকে পানীয় জল দেওয়ার নিরিখে বরানগর পুরসভার ব্যর্থতার কথা তিনি উল্লেখ করেন। এরপর শহরবাসীর প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রীর এই কথার পরও কি ঘুম ভাঙবে পুরসভার? পরিশুদ্ধ পানীয় জল পাব কি আমরা?
জানা গিয়েছে, বরানগর পুরসভার ৩৪টি ওয়ার্ডের জন্য প্রায় ২০এমজিডি (মিলিয়ন গ্যালন পার ডে) জল প্রয়োজন। আলমবাজার জুট মিলের মধ্যে পুরসভার নিজস্ব জল প্রকল্প ছাড়াও কামারহাটিতে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর ও কেএমডিএ’র জল প্রকল্প থেকে বরানগরে পানীয় জল আসে। প্রতিদিন জল আসে প্রায় সাড়ে ১২এমজিডি। গরমের সময় তা আরও কমে অর্ধেকের নীচে নেমে যায়। আট, নয়, ১০, ১২, ১৪, ১৬, ২৭, ২৮, ৩২, ৩৩ সহ বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে জল সঠিকভাবে পৌঁছয় না। ফলে সারাবছর জল কিনে খাওয়াই শহরবাসীর নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার গরমে জলসঙ্কট বাড়লে কেনা জলের দাম দ্বিগুণ হয়ে যায়।
অভিযোগ, সঙ্কটের হাত ধরে প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডে পানীয় জলের ব্যবসা চলছে। গজিয়ে উঠেছে একের পর এক পানীয় জল তৈরির কোম্পানি। তাঁদের সিংহভাগের কোনও সরকারি অনুমতি নেই। অবৈধভাবে মাটির নীচ থেকে পাম্প বসিয়ে জল তোলে তারা। কেউ পুরসভার পাম্প থেকেই জল টেনে নেয়। ব্যবসায় লাভের অঙ্ক ভালো থাকায় পুরসভার একাধিক কাউন্সিলারের ভাই, ছেলে ও নিকট আত্মীয় এই ব্যবসায় যুক্ত। পুরসভার চেয়ারম্যান অপর্ণা মৌলিক বলেন, ‘বরানগর পুরসভার জল প্রকল্পগুলি ৭০-৭৫ বছরের পুরনো। সেগুলি সংস্কারের জন্য কেএমডিএ পরিকল্পনা তৈরি করছে। গ্রীষ্মে গঙ্গার জলস্তর নামলে সমস্যা বাড়ে। এর মধ্যেও গত দেড় বছরে নতুন চারটি ওভারহেড রিজার্ভার হয়েছে। এর ফলে ১৮নম্বর ওয়ার্ডে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে। আরও দু’টি ওভারহেড রিজার্ভার হবে। এই কাজ দ্রুত সম্পন্ন হলে ছোট ছোট পকেটে পানীয় জল পৌঁছনোর সমস্যা মিটবে।’